Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

ICS

Death: তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু দুই ভাইয়ের, দেহ উদ্ধার করতে এসে গ্রামবাসীর তাড়া খেল পুলিস

ভিন রাজ্যের দুই শ্রমিকের মৃত্যুকে ঘিরে রবিবার উত্তাল হল বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকে এ রাজ্যে কাজ করতে এসে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তারে তড়িদাহত হয়ে প্রাণ হারালেন মথুরার দুই ভাই বিষ্ণু এবং বিকাশ তানওয়ার। দেহ উদ্ধার করতে এলে পুলিসকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। ধান কাটার কাজে এই রাজ্যে এসেছিলেন বিষ্ণু এবং বিকাশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ধানকাটার গাড়ি নিয়ে যশপুর গ্ৰাম পঞ্চায়তের সালুংচি গ্ৰাম থেকে কাজ সেরে সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্ৰামের দিকে রওনা দেন। রাস্তায় ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার তাঁদের গাড়ির সঙ্গে লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সদাইপুর থানার পুলিসকর্মীরা। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের এলাকাছাড়া করে ক্ষিপ্ত জনতা। এলাকাবাসীদের দাবি, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা না আসা পর্যন্ত দেহ দুটি ছাড়া হবে না। বেশ কয়েক ঘণ্টা পরে অবশ্য দেহ পুলিসের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। দুপুরের দিকে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিস।

12 months ago
Internet: বন্ধ ইন্টারনেট, পরপর মৃত্যুতে থমথমে কালিয়াগঞ্জ

কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে (Minor) যৌন নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি (Politics)। রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এবার কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের (Kaliyaganj) কিছু জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিগত কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাবালিকা মৃত্যু নিয়ে একাধিক তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। প্রশাসনের দাবি, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুয়ো বা প্ররোচনামূলক তথ্য ছড়াতে পারে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সূত্রের খবর, পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয় সেই জন্যই আগামী কয়েকদিন প্রশাসনের তরফে এই অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ফোন, এসএমএস বা খবরের কাগজ পৌঁছনো নিয়ে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। কালিয়াগঞ্জের মানুষ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। খবরের কাগজও পৌঁছাবে। শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন না।

প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দোষীদের শাস্তির দাবিতে ফের আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের গাড়ি, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। মারধর করা হয় পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও। কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপির ভূমিকা আছে বলে মনে করছেন। তাঁর দাবি, বিহার থেকে লোক এনে এই অশান্তি করা হয়েছিল। মহিলা পুলিশ কর্মীদের গায়ে হাত দিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তিও নষ্ঠ করা হয়েছে। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

one year ago
Mukul: বিজেপির সঙ্গে গেলেও বিরোধী রাজনীতিতে কতটা আমল পাবেন মুকুল রায়?

প্রসূন গুপ্ত: মঙ্গলবার থেকে খবরের বাজারে চমকদার বিষয় মুকুল রায়। বেশ কিছুদিন ধরে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন রাজনীতি থেকে। যদিও তিনি বর্তমানে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক। বিধানসভা নির্বাচনের পরে তিনি হারান স্ত্রীকে। পরবর্তীতে ইনি সপুত্র যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তাঁকে বরণ করে নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিধানসভার পাবলিক একাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করতে চান। কিন্তু বিজেপির তরফে তীব্র আপত্তি এবং সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা তুলে এই প্রস্তাব সায় পায়নি। তবে মুকুলের দলবদলের পরপরই আরও অনেক বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এই তালিকায় নামজাদা নাম।

এদিকে, শোনা যায় মাঝেমধ্যে মুকুল রায় নাকি সল্টলেকের বাড়ি ছেড়ে কাঁচরাপাড়ায় নিজের বাড়িতে থাকছেন। তাঁর ছেলের দাবি, বাবা পারকিনসন ও ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত। অবশ্য মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সামনে একাধিকবার সাক্ষৎকারে দিয়েছেন মুকুল রায়। সেই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। এরপরে সোমবার সকাল থেকে ফের খবরের শিরোনামে মুকুল রায়। তিনি হঠাৎ রবিবার সন্ধ্যা থেকে 'নিখোঁজ' হয়ে যান। পরে সিসিটিভিতে তাঁর ছবি ধরা পরে দিল্লি বিমানবন্দরে। জল্পনা ওঠে তিনি নাকি ফের ফেরত যাচ্ছেন বিজেপিতে। এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলে পুত্র শুভ্রাংশু জানান, তাঁর বাবা অসুস্থ। তিনি পুলিসে অপহরণ ডায়রি করেন। অবশ্য ততক্ষণে মুকুল রায় রাজধানী নয়াদিল্লিতে। এরপর বিভিন্ন মিডিয়া জানাতে শুরু করে, মুকুল রায়ের সঙ্গে নাকি অমিত শাহের কথা হয়েছে।

যদিও মুকুল রায় সিএন-কে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেন, 'তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বিজেপির এমএলএ।' কিন্তু এখানেই রাজনৈতিক টুইস্ট। একেবারে দলের অন্দর থেকে জানা গিয়েছে, নাড্ডা বা শাহ মুকুলকে প্রাথমিকভাবে আমল দেয়নি। মুকুলের কথা হয়েছে নাকি পুরোনো বন্ধু কৈলাস বিজয়বর্গীর সঙ্গে। অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপির একটি গোষ্ঠীর নাকি ঘোরতর আপত্তি আছে মুকুলের বিষয়। আবার অন্য গোষ্ঠীর ইচ্ছা তিনি ফিরুন। তবে জল্পনা যাই হোক না কেন, আজকের মুকুল কিন্তু প্রাক্তন মুকুলের ছায়া মাত্র। অতএব ...


one year ago


Subhrangshu: 'মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নয় বাবা', মুকুল নিখোঁজ প্রসঙ্গে দাবি শুভ্রাংশুর

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কালিমালিপ্ত করতে বাবাকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি (Politics) চলছে। মঙ্গলবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মুকুল (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তাঁর দাবি, অভিষেককে বদনাম করতে একটি রাজনৈতিক দল খেলায় নেমেছে। কারণ এখন নিশানা অভিষেক। শুভ্রাংশু সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে এখনও তাঁর যোগাযোগ হয়নি। রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছেন তিনি। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা প্রসঙ্গে শুভ্রাংশুর দাবি, তাঁর বাবা অসুস্থ। একটা সুস্থ মানুষ বিজেপিতে যোগ দেওয়া আর মানসিকভাবে সুস্থ নয় এমন মানুষের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মধ্যে ফারাক আছে।  সোমবার সন্ধ্যায় মুকুল রায়ের 'নিখোঁজ' হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। দু'টি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভ্রাংশু। যদিও পরে জানা যায়, দিল্লি গিয়েছেন 'মুকুল'।

রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, ফের বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। কিন্তু মুকুলের দিল্লি যাওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না শুভ্রাংশু। না বলেই তাঁর বাবাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মুকুল রায়কে কে দিল্লি নিয়ে গেল, বিমানে কীভাবে টিকিট কাটলেন মুকুল, এখন সেসব কথাই ভাবাচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গে উঠে আসছে ৫০ হাজার টাকার প্রসঙ্গ। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে শুভ্রাংশু জানান, পুরো বিষয়ে টাকার খেলা রয়েছে। মুকুল পুত্রের দাবি, বাবার কাছে এখন বেশি টাকা নেই। মাসিক আয় ২১ হাজার টাকার মতো। এই পরিস্থিতিতে সোমবার একটি এজেন্সির তরফে এক অবাঙালি ব্যক্তিকে বলা হয়, মুকুল রায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসার জন্য।  বাবার শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি। শুভ্রাংশুর দাবি, মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নন তাঁর বাবা। ভাল করে হাঁটতে পারছেন না। দিনে ১৮টি ওষুধ খান। এখনও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। 

ফের বিজেপিতে যোগ দিতে পারে মুকুল রায়। সেকারণেই দিল্লি গিয়েছেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু, দিল্লি বিমানবন্দরে মুকুলকে প্রশ্ন করতেই তাঁর উত্তর, এমনই দিল্লি এসেছেন। কিছু আছে। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। কাজ মিটলেই তিনি ফিরে যাবেন।

one year ago
Mukul: সোমবার রাতে হঠাৎ দিল্লিতে মুকুল রায়, জল্পনা তুঙ্গে

মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লিতে (Delhi) গমন নিয়ে জোর জল্পনা রাজ্য-রাজনৈতিক মহলে। তবে কি ফের বিজেপিতে মুকুল! রাজ্য রাজনীতির (Politics) এই সরগরম পরিস্থিতে মুকুলের দিল্লি যাওয়াকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দলগুলি।

সোমবার রাতের নিখোঁজ বিতর্ক উড়িয়ে মুকুল রায় ছিলেন দিল্লিতে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সোমবার তিনি বলেন, 'আমি একজন বিধায়ক, আমি কি দিল্লি যেতে পারি না।' প্রসঙ্গত,  সোমবার রাতে হঠাৎ চাঞ্চল্য ছড়ায় মুকুল রায়ের গুম হয়ে যাওয়াকে নিয়ে। সূত্রের খবর, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশ নাকি এয়ারপোর্ট থানা এবং বীজপুর থানায় মুকুল রায় সম্বন্ধে নিখোঁজ ডায়রি করেন। যদিও বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু। তারপরেই বিতর্ক শুরু হয়।

মুকুল রায়ের এই অন্তর্ধান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। এ বিষয়ে সিপিআইএমের শতরূপ ঘোষ বলেন, 'চোর চুরি হয়ে গিয়েছে। কিংবা অভিষেকের হয়ে বিজেপির সঙ্গে সেটিং করতে গিয়েছে।' যদিও এ বিষয়ে মুকুল পুত্রের সঙ্গে সিএন ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তোলেন নি।

one year ago


Basirhat: পাট ক্ষেতে জল দিতে গিয়ে শর্ট সার্কিটে মৃত্যু এক কৃষকের

পাট ক্ষেতে জল দিতে গিয়ে শর্ট সার্কিটে (Electric shock) মৃত্যু হয় এক কৃষকের। বসিরহাট (Basirhat) থানার গোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর বাগুন্ডি গ্রামের ঘটনা। স্থানীয়রা ওই কৃষককে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃত ওই কৃষকের নাম এসারুল সাহাজি (২৫)। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ির পাশের মাঠে, একটি পুকুর থেকে পাট ক্ষেতে জল দেওয়ার জন্য মোটর লাগিয়েছিলেন তিনি। মোটর লাগানোর পরে বিদ্যুতের তার সংযোগ করছিলেন নিজের ইলেকট্রিক মিটার থেকে। সেই সময়ই বৈদ্যুতিক তারের একটি অংশ কাটা থাকায় শর্ট সার্কিট হয়ে মৃত্যু হয় ওই কৃষকের। 

এমনকি এই বিষয়ে স্থানীয়দের দাবি, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকত ওই কৃষক। পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব খারাপ। তাই রাজ্য সরাকারের তরফ থেকে পরিবারটিকে কিছু অনুমোদন দিয়ে সাহায্য করলে তাঁদের খুব উপকার হবে, দাবি স্থানীয়দের। 

one year ago
Abhishek: বকেয়া মিটিয়ে দিলে রাজনীতি ছেড়ে দিতে রাজি, টুইট করে শাহকে তোপ অভিষেকের

বাংলার বকেয়া টাকা দিয়ে দিলে রাজনীতি (Politics) ছেড়ে দিতে রাজি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার বীরভূমে সিউড়ির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তারই জবাবে শুক্রবার সন্ধ্যায় টুইট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, 'বাংলার বকেয়া ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিন, তবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া তো দূর, আমি রাজনীতিও ছেড়ে দিতে রাজি।' শুক্রবার দু'দিনের সফরে রাজ্যে পা রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

শুক্রবার রাজ্যে পা রেখে অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে, তিনি একটি সভা করেন। সেখানেই রাজ্যের দুর্নীতি, অশান্তি-হিংসা-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করেন। ওই সভা থেকেই স্পষ্টতই বলেন, 'ভাইপো যতই চাক না কেন, ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবে না।' এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন টুইটে হৈ-চৈ ছড়িয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।

ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা ইত্যাদি নিয়ে বাংলার বকেয়ার দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় সরব হয়েছেন মমতা এবং অভিষেক। সম্প্রতি রেড রোডে বকেয়া টাকার দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধারনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বিভিন্ন সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই বিষয়ে সুর চড়িয়েছেন। হুংকার দিয়েছেন দিল্লি অচল করে দেওয়ার। সামনেই পঞ্চায়েত, বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। যদিও শুক্রবার ৩৫টি আসন নিয়ে ২৪ সালে, মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর দাবী জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এ অবস্থায় বাংলাকে বঞ্চনা করার দাবিতে বকেয়া অর্থ চেয়ে অভিষেকের টুইট, সেটা যে কেন্দ্রকে তোপ সেটা স্পষ্ট করলেন ওই টুইটেই।

one year ago
Imran: বুশরা বিবির সঙ্গে ইমরান খানের তৃতীয় বিয়ে অবৈধ! আদালতে অভিযোগ দায়ের

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এবারে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবিকে (Bushra Bibi) নিয়ে এক বিতর্কিত মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, ইমরান খানের সঙ্গে বুশরা বিবির বিবাহ ইসলামিক শরিয়া আইন (Islamic Sharia Law) মেনে হয়নি। ফলে ইসলাম ধর্ম মেনে তাঁদের বিয়ে হয়নি বলে আদালতে এক পিটিশন দায়ের করেছিলেন মহম্মদ হানিফ নামের এক ব্যক্তি। এরপরেই মৌলবি মুফতি সঈদ আদালতে এই বিষয়ে সত্যতা প্রকাশ্যে আনেন। ইনিই ইমরান ও বুশরার নিকাহ করিয়েছিলেন।

জানা গিয়েছে, মুফতি দাবি করেছেন, ইমরান ও বুশরার নিকাহ ইসলামিক শরিয়া আইন মেনে হয়নি, কারণ তাঁদের বিয়ে 'ইদ্দত' সময়ের মধ্যে হয়েছিল। উল্লেখ্য, যখন কোনও মুসলিম মহিলার আগের পক্ষের স্বামীর মৃত্যু বা বিচ্ছেদ হয়ে গেলে একটা নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করতে হয়। সেই সময়টাকেই 'ইদ্দত' বলা হচ্ছে। এই 'ইদ্দত'-এর তিনমাস সময়ের মধ্যে সাধারণত নিকাহ করা যায় না। কিন্তু মৌলবি দাবি করেছেন, ইমরান ও বুশরা এই ইদ্দত সময়ের মধ্যেই বিয়ে করেছেন।  তিনি আরও জানিয়েছেন, ইমরান বুশরা এই বিষয়টি জানতেন কিন্তু তবুও তাঁরা নিকাহ করেছেন।

প্রসঙ্গত, বুশরার প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছিল ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে আর ইমরানের সঙ্গে তাঁর নিকাহ হয়েছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। মৌলবি মুফতি সঈদের এমন দাবি শুনে আদালত এই মামলার শুনানিতে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ এপ্রিলের পরেই হবে।

one year ago


Bengaluru: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবককে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারালেন যুবক, তদন্তে পুলিস

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electric shock) যুবককে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারালেন যুবক। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া যুবকে বাঁচাতে পারলেও, তিনি নিজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) মাদিওয়ালা এলাকায়।

মঙ্গলবার, মধ্যরাতে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে খোলা তারের সংস্পর্শে চলে এসেছিলেন এক যুবক। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন আকবর আলি। তিনি এক যুবককে ছটফট করতে দেখে সামনে এগিয়ে দেখেন যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন। বিদ্যুতের তারটি থেকে ধাক্কা মেরে ওই যুবককে সরিয়ে দেন আকবর। যুবককে সরিয়ে দিতে গিয়ে তিনি নিজেই বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে চলে আসেন। তিনি ওই যুবকের মতো একইভাবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিসের একটি টহলদারি গাড়ি এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে আকবরকে। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।

পুলিস সূত্রে খবর, মৃত যুবক হলেন কেরলের বাসিন্দা। একটি মোবাইলের দোকান ছিল তাঁর। ব্যবসার জিনিসপত্র কিনতে প্রায়ই বেঙ্গালুরুতে যেতেন তিনি। মঙ্গলবারও মোবাইলের যন্ত্রপাতি কিনতে গিয়ে সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবকের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিজেই প্রাণ হারিয়েছেন তিনি। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলে যে সংস্থার বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার খোলা অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে, জানিয়েছে পুলিস। আস্বাভাবিক মৃত্য়ুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

one year ago
Bomb: ভিন রাজনৈতিক মতাদর্শী বাবা আর ছেলের মধ্যে বোমাবাজি, আতঙ্ক রানিনগরে

এতদিন তো শুনেছেন ভিন রাজনৈতিক মতাদর্শী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজি (Bombshell), কখনও ভিন রাজনৈতিক (Politics) মতাদর্শী বাবা আর ছেলের মধ্যে বোমাবাজি দেখেছেন? বিস্মিত হয়ে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরের ওই এলাকাবাসী। সূত্রের খবর, ছেলে তৃণমূল নেতা। বাবা আবার কংগ্রেসের কট্টর সমর্থক। সেই ‘পিতা-পুত্রের’ ঝামেলায় বোমাবাজি। শনিবার রাতে বাবা-ছেলের মারামারিতে আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। বোমা বিস্ফোরণে এলাকা ভরল ধোঁয়ায়, উড়ে গেল বাড়ির টিনের চাল।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রানিনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল যুব সভাপতি আনসার আলি শেখ। তাঁর স্ত্রী শেফালি শেখ আবার পঞ্চায়েত প্রধান। গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে গোটা পরিবারই শাসক দলের সমর্থক। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় থেকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তন করেছেন আনসারের বাবা জহিরউদ্দিন শেখ। তিনি কংগ্রেসের সমর্থক। এখন এই রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে পারিবারিক বিবাদ চরমে উঠেছে। শনিবার গভীর রাত থেকে বোমাবাজি শুরু হয় জহিরউদ্দিন এবং আনসারের বাড়িতে। মুহুর্মুহু বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বাবা-ছেলের রাজনৈতিক ঝগড়ায় বোমাবাজি হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামী গোটা ঘটনার দায় চাপিয়েছেন বাবার উপর। ছেলে আনসারের অভিযোগ, বাবা তাঁকে খুন করতে চান। তাঁর কথায়, ‘আমি তৃণমূল করি। এই আক্রোশে বাবা আমাকে মেরে ফেলতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার মূলচক্রী আমার বাবা। আমাকে সরিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের হয়ে এলাকা দখল করতে চাইছে।’ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে, জহিরউদ্দিন বলেন, ‘খুন-জখমের রাজনীতি তৃণমূলের সংস্কৃতি হতে পারে, কংগ্রেসের নয়।’ বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রানিনগর থানার পুলিস বাহিনী। রবিবার পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির কাছে পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। যদিও কারও আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি।

one year ago


Kuntal: অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, বিস্ফোরক কুন্তল

'অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।' কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) এই বিস্ফোরক মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক (Politics) শোরগোল। শিক্ষা নিয়োগকাণ্ডে ধৃত শান্তনু বন্দোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কুন্তল ঘোষের অভিযোগ সরাসরি কেন্দ্রীয় সংস্থার দিকে। বৃহস্পতিবার কুন্তলকে ব্যাঙ্কশালে স্পেশাল আদালতে তোলা হয়। সে সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'জোর করে আমাকে দিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নাম বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে ইডি।' এমনকি তিনি আরও বলেন, 'গোটা ঘটনা বিচারককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।' কুন্তলের এই অভিযোগ নিয়ে শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে।

অবশ্য কুন্তল আগেই দাবি করেছিলেন যে, ‘প্রভাবশালী’দের নাম বলার জন্য তাঁর উপর চাপ দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।' তবে সেই সময় কোনও নাম উল্লেখ করেননি তিনি। বৃহস্পতিবার অভিষেকের নাম করলেন তিনি। তাঁর আইনজীবীও তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার এই কাণ্ডে তাপস মণ্ডলকে  প্রভাবশালীর নাম বলবেনা কিনা এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'কুন্তলের মুখেই শুনুন।' যদিও এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞেস করা হলে, প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ্যে আনলেন কুন্তল। এর আগেও কুন্তল অভিষেকের দিকে ইঙ্গিত করে মন্তব্য করছেন। দাবি করেছেন, তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে এনেছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির নাম।

one year ago
Special: ছাত্র সমাজের রাজনীতি করার পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি

সৌমেন সুর: ছাত্র সমাজ সামাজিক মানুষেরই একটি বিশেষ অধ্যায়। আধুনিক সমাজ নানা ঘাত প্রতিঘাতে অস্থির। বিরোধ চারিদিকে লাগাতার। বিরোধ, সামাজিক প্রথাচারে, ধর্মীয় বিশ্বাসে। শোষন নির্যাতন আজ নানা ছদ্মবেশে। কত জেহাদ, কত রক্তপাত। এছাড়া জীবন জীবিকার নিরন্তর সংগ্রাম। নানা সমস্যার ছবি। সমাজ জীবন প্রতিনিয়ত আন্দোলিত। আন্দোলনের ঢেউ শিক্ষা অঙ্গনেও আছড়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় ছাত্র সমাজ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না, তাদের রক্তে ঝড়ের মাদন। তারা চিরসবুজের অগ্রদূত। তারা তারুণ্যের প্রতীক। সমাজের নানা পালাবদলের অধ্যায়ে তাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকে।

সেকাল ও একালের ছাত্রসমাজের ছবি রীতিমতো ভিন্ন। সেকালে একমাত্র অধ্যয়নই ছিল তপস্যা। গুরুগৃহেই হতো বিদ্যাশিক্ষা শুরু ও শেষ। কিন্তু সমাজ এক জায়গায় থেমে থাকলো না। সামাজিক জীবন রাজনীতি অর্থনীতিবাদ দিয়ে নয়। বির্বতনের পথে সেখানেও এলো রুপান্তর। রাজনীতি এখন সমাজের অন্যতম নিয়ন্ত্রণ শক্তি। বর্তমানে সমাজ জীবন রাজনীতি নির্ভর। রাজনীতিতে ছাত্রদের অংশ নিয়ে এখনও বিস্তর মতপার্থক্য। প্রাচীনপন্থীরা মনে করেন, রাজনীতিতে ছাত্রের অতিমাত্রায় উৎসাহ তাঁদের জ্ঞান অর্জনের বাধা সৃষ্টি করে। নানা উত্তেজনা ও উন্মাদনায় শিক্ষায়তনের পরিবেশ অগ্নিগর্ভ করে। আবার অন্যপক্ষ মনে করেন, সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে জগতের পরিধি বাড়ছে। বদলে যাচ্ছে তার প্রকৃতি। কিন্তু ছাত্রসমাজ সব যুগেই বলিষ্ঠ প্রতিবাদ। তারা প্রাণশক্তিতে ভরপুর। রাজনীতিতে ঢেউ তাদের হৃদয়ে আঘাত করে। তারা অস্থির হয়। ছাত্রসমাজ রাজনীতি সর্বস্ব হয়ে উঠুক এ যেমন অনভিপ্রেত, তেমনি রাজনীতির স্পর্শ বাঁচিয়ে অনেক দূরে থাকুক, এও অবাস্তব কল্পনা।

আসলে ছাত্রসমাজ হবে ধীর স্থির, অবিচলিত বুদ্ধি এবং বিবেচনা প্রবণ। রাজনীতির প্রথমিক দীক্ষা যদি সুষ্ঠু ও সুন্দর না হয় তাহলে অশুভ শক্তিই তাকে গ্রাস করবে। রাজনীতির চোরাবালিতে জীবন হয় সংশয়। ভবিষ্যত জীবন ডুবে যায় অনিশ্চিয়তার অন্ধকারে। ভুল রাজনীতির কবলে পড়ে এরা হয় সমাজের আতঙ্ক। এখন একদল অন্যদলের প্রতিদ্বন্দ্বী। অথচ তাদের হাতেই সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার। দলমত নির্বিশেষে ছাত্রসমাজ হবে অন্যায়ের বলিষ্ঠ কন্ঠ। হবে নতুন দিনের অঙ্গীকারে দুর্বার, প্রাণশক্তিতে উত্তাল।

one year ago
Covid19: কোভিড উদ্বেগের মাঝেই অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের

দেশে করোনা (Corona) সংক্রমণের হার ফের ঊর্ধ্বমুখী। দিনের পর দিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হাজারের গন্ডি পেরিয়েছে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করে বলা হয়েছে, কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ছাড়া অযথা অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic) খাওয়া উচিত নয়। এতে শরীরের বেশি ক্ষতি করতে পারে।

মানুষের মধ্যে প্রথম থেকেই প্রবণতা থাকে জ্বর, সর্দি-কাশি হলেই প্রথম থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া। তবে এমনটা করা উচিত নয় বলে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। যদি কোনও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন না হয়ে থাকে তবে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কোভিডের পাশাপাশি অন্য রোগও রোগীর শরীরে বাসা বাঁধছে। সেক্ষেত্রে স্টেরয়েডের ব্যবহার কম করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে।

যদিও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে চলেছে, তবে স্বস্তির খবর, আগের বারের থেকে এবারে হাসপাতালে ভর্তি আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। অর্থাৎ এবারে কোভিডের তেমন দাপট দেখা যাচ্ছে না। শেষ রিপোর্টের তথ্য অনুসারে, শনিবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৪ জন। আবার করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৯। কেরল, কর্নাটক, দিল্লি ও পঞ্জাবে ২ জন ও গুজরাতে ১ জন মারা গিয়েছেন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৫৪ জন। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।


one year ago


Rezzak Molla: বুদ্ধ বাবু সৎ লোক, একটু আবেগপ্রবণ, মমতা খুব চালাক: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা

সক্রিয় ভাবে যুক্ত নেই তিনি। দলের সঙ্গে যুক্ত না থাকার আক্ষেপ যেমন আছে, তেমন ভোলেন নি তাঁর পুরোনো দলকেও। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন একদা বাম নেতা, পরবর্তীকালে ভাঙড়ের তৃণমূলের বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর, তাঁর আক্ষেপ তাঁর দল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কেউই যোগাযোগ রাখেন না। এমনকি মমতা বন্দোপাধ্যায় অবধি উদ্যোগ নিয়ে যোগাযোগ করে না বলে জানান তিনি।  

ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা শনিবার সিএন-কে জানান, ' ৮০ বছর বয়স হয়েছে, আগেকার মত দৌড় ঝাঁপ করতে পারি না। সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে এসেছি আক্ষেপ হয়। ভাঙ্গর নিয়ে  তিনি শনিবার জানান, ' পঞ্চায়েতের আগে ভাঙ্গর কিছুটা রিকভার হবে, সবটা হবে বলে মনে হয় না, শওকতকে দায়িত্ব দিয়েছে, ও দক্ষ সংগঠক।  যদিও ওখানে প্রার্থী ঘোষণার পর, নিজেদের মধ্যে একটা মতবিরোধ হয়। তবে সবাই চেষ্টা করছে।  '

ভাঙড়ের প্রার্থীর জন্যই কি এই দুরাবস্থা ভাঙড়ের, এই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন , ' আমি নিজেই চাই নি প্রার্থী হতে, আমি চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম, শারীরিক অসুস্থতার কারণে, আমি প্রার্থী হতে চাই না, তাই মমতা আমাকে প্রার্থী করেন নি। তিনি আরও বলেন,  ' মমতা বলেছিল, আপনার যদি কোনো অসুবিধা হয় বলবেন, যদিও আমার কোনো প্রয়োজন পড়েনি, তাই জানাই নি,  আমাদের যোগাযোগ সেরকম নেই।  '

শনিবার তিনি আরও বলেন, ' বার্ধক্য কালে বাম জামানার লোকদের পাশে পাই, এই জন্য আক্ষেপ হয়, ওরা আন্তরিক ভাবে আমার খেয়াল নেয়। দলের শীর্ষস্তরের নেতৃত্ব আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে না। ' শনিবার তিনি জ্যোতি বাবু, বুদ্ধ বাবু ও মমতা বন্দোপাধ্যায়, তিন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে জ্যোতি বাবুকে এগিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন,  '  জ্যোতি বাবুর সঙ্গে কারোর তুলনা হয়না, উনি একটা কথা বললে সেটাই ফাইনাল, বুদ্ধ বাবু আবেগ প্রবন, আবেগের বসে মন্ত্রিসভা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি মমতা চালাক, পিপলস পালসটা বোঝেন। ' তিনি মমতা সম্পর্কে আরও বলেন, ' মমতা প্রান্তিক মানুষের জন্য যা করেছেন গ্রাম বাংলায় মমতাকে সরাতে পারবেন ন। ' শনিবার দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, ' আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল, শীঘ্রই ব্যবস্থা নিতে হবে।  ' যদিও মমতার পর, অভিষেক কি যোগ্য নেতা! সে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,  ' মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরে বড় জিজ্ঞাসা চিহ্ন, একজন তৈরী নেতা, ও  একজন তৈরী করা নেতা, দুটোর মধ্যে পার্থক্য আছে।  '   

one year ago
Anubrata: 'প্রভাবশালী' বলেই জেলে থেকেও জেলা সভাপতি কেষ্ট !

মনি ভট্টাচার্য: অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) রাজ্য রাজনীতির (Politics) একটা বৃহৎ কাণ্ডারির নাম? বৃহৎ বিশেষণ কি বাড়াবাড়ি লিখছি? আমি ভুল লিখছি কিনা সেটা আপনারা, পাঠকরা বিচার করবেন। কিন্তু তৃণমূলের (TMC) কাছে, অনুব্রত মণ্ডল যে একজন রাজ্য রাজনীতির বৃহৎ চরিত্র, সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে স্বয়ং শাসক দল তৃণমূল। না হলে কি দীর্ঘ ৮ মাস গ্রেফতারির পরেও তিহার জেলে থেকেও জেলা সভাপতি থাকা যায়? সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্য রাজনীতি-সহ গোটা দেশে এমন কোনো নজির নেই। কোন নেতা জেলে থেকে সামলেছেন সংগঠন, বিশেষ করে শাসক দলের জেলা সভাপতির মতো পদ? শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকের পর তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশে অনুব্রতই যে বীরভূমে জেলা সভাপতি থাকবেন সে কথা জানিয়ে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।


অনুব্রত মণ্ডল কোনও বিধায়ক নয়, কোনও সাংসদ নয়, কোনও মন্ত্রী নয়। অথচ অনুব্রত মণ্ডলের নামে নাকি একই গ্লাসে জল খেয়েছে, ওই জেলার প্রশাসনিক কর্তা, দলীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। এমন অভিযোগ বারবার করছে বিরোধী শিবির। কারণ একটাই, মাননীয় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভরসা যোগ্য ভাই তিনি, কেষ্ট মণ্ডল। একটু খোঁজ নিলেই জানা যাবে, অনুব্রতর রাজনৈতিক গুরু প্রদ্যুৎ গুহ, যিনি প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের একদা আপ্ত সহায়ক ছিলেন।

প্রদ্যুৎ বাবুর হাতে ধরেই রাজনীতির পাশাপাশি বামেদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অনুব্রত। নানুর-সহ বীরভূমে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসময়ের অন্যতম মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। তারপর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। বছর পাঁচেকের মধ্যে বদলে যায় অনেক চিত্র। সে বদলে যাওয়া চিত্র তো এখন সবার চোখের সামনেই। যত বেশি কেন্দ্রীয় সংস্থা সক্রিয়, তত বেশি করে ছাড়ানো হচ্ছে পিঁয়াজের খোসা।


এই বাংলার সাড়ে ১০ কোটি মানুষের এমন কেউ কি আছেন যে অনুব্রত মণ্ডলকে চেনেনা না। এমনকি তাঁর গুনের কীর্তি পৌঁছেছে দিল্লিতেও। কান পাতলে এই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ২০২২ সালে ১১ অগাস্টে গরু পাচার মামলায় সিবিআই কেষ্টকে গ্রেফতার করে। বারবার বিভিন্ন অজুহাতে সিবিআইয়ের জেরা এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল, সে কারণেই বীরভূমের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি অনুব্রতকে বাড়ি গিয়েই গ্রেফতার করে সিবিআই। সময় গড়িয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে সক্রিয় সিবিআই-ইডি। কিন্তু আজও যেন না থেকেও বীরভূমের আছেন তিনি।

যদিও পঞ্চায়েত ভোটের স্বার্থে ওই জেলায় 'অবজারভার' স্বরুপ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক, ফিরহাদ হাকিম ও পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে। এই তিন জনের কেউই জেলার নেতৃত্ব নয়। এদিকে কাজল শেখকেও চুপ থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয়, শত শত অভিযোগ থাকার পরেও, প্রায় ১৬ পক্ষ জেলে কাটানোর পর আজও অনুব্রত বীরভূমের 'দোর্দণ্ডপ্রতাপ' জেলা সভাপতি। যিনি কিনা সম্প্রতি ইডিকে জানিয়েছেন, আমার সঙ্গে দল আছে। সেই প্রতিদান কি দল ফিরিয়ে দিল রাজ্য রাজনীতির কেষ্ট মণ্ডলকে? প্রশ্ন আসছে সাধারণের মনে।

তাই যদি হয়, এতে কি আমাদের আপত্তি থাকার কথা? না, একেবারেই নয়। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর সত্যিই জানতে ইচ্ছে করে? কুন্তল ঘোষ হুগলি জেলার যুব তৃণমূলের নেতা ছিলেন, শান্তনু বন্দোপাধ্যায় হুগলির কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিলেন শাসক দলের মহাসচিব। অনুব্রতর পাশাপাশি অন্য একটি মামলা অর্থাৎ শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন উল্লিখিত এই তিন জন। অথচ তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কেবল তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিল কেন?

বীরভূম কী এমন জেলা? যে জেলার সভাপতি এত ক্ষমতাবান! রাঙামাটির এই জেলা থেকে গরু পাচারে অভিযুক্ত হিসেবে একাধিক ব্যক্তি এখন গারদের পিছনে। বিরোধীরা বলেন, 'এই জেলায় আবার নাকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে উন্নয়ন।' এখন গরু পাচার, উন্নয়ন এবং দীর্ঘদিন জেলে থাকার পরও অনুব্রতর জেলা সভাপতি থেকে যাওয়া, বিষয়গুলিকে একসঙ্গে আঁকুন। রাজনীতির একটা বৃহৎ চেহারাই পাবেন। সেদিক থেকে দেখতে গেলে অনুব্রত রাজ্য রাজনীতির একটা বৃহৎ নাম, বিষয়টা পোয়েটিক জাস্টিস নয় কি?

one year ago