Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Ayan

Court: অবকাশকালীন বেঞ্চেও ধাক্কা রাজ্যের, পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে কি আরও বিপাকে পড়বে তৃণমূল!

পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের ধাক্কা রাজ্যের। এবার জাস্টিস অমৃতা সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গ্রীষ্মের অবকাশকালীন বেঞ্চের দারস্থ হয়েছিল রাজ্য। এই মামলার শুনানিতে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ মিললো না রাজ্যের, বরং অবকাশকালীন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, পরবর্তীতে এই মামলার শুনানি হবে ৫ই জুন। ফলে ততদিনে গ্রীষ্মকালীন ছুটিও শেষ হয়ে যাবে, এরপর যে বেঞ্চে অর্থাৎ যে ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি চলছিল তারাই এই মামলা শুনবেন।

সূত্রের খবর, পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়। জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য প্রথমে অমৃতা সিনহার বেঞ্চে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করে। যদিও ওই আবেদনে তেমন কোনও সাড়া দেয় নি জাস্টিস সিনহা। জাস্টিস সিনহা, জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় বহাল রেখে জানিয়ে দেয়, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের রায় বহাল থাকবে। এরপরই রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চ এর কাছে আবেদন জানালে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল গ্রীষ্ম অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলার আবেদন করুন। আজ অবকাশকালীন বেঞ্চে রাজ্য ফের আবেদন জানালে সেই আবেদনে কাজ হল না। ফলে ৫ই জুন অবধি খানিকটা অস্বস্তিতে থাকবে তৃণমূল। 

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতারির পর অয়ন শীলের নথি ও উদ্ধার করা বেশ কিছু হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ ঘেঁটে পুর-নিয়োগ দুর্নীতির হদিশ পায় ইডি। সেকথা জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায় কে শুনানির সময় জানালে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায় পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।

12 months ago
Ayan: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও বিপাকে অয়ন শীল, নতুন করে মামলা দায়ের ইডির

পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) এবার বিপাকে ধৃত অয়ন শীল (Ayan Shil)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির (ED) খপ্পরে আগেই পড়েছিল অয়ন শীল। ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই রায় নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। বিচারপতি অমৃত সেনার এজলাসে রাজ্যের এই আর্জি কোন কাজেই এলোনা বরং এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে যোগ হলো ইডি।

পুর নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তা সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ফের হাইকোর্টে আসে। কিন্তু মামলার বেঞ্চ বদল হয়। মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। শুক্রবার তিনিও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রেখেছেন। আবার এদিনই আদালতে দাঁড়িয়ে ইডি দাবি করল, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে একা অয়ন শীলই (Ayan Sil) তুলেছিলেন ৪০ কোটি টাকা।

এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই তদন্ত বহাল রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, রাজ্য সরকারের উচিত দফতরগুলিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এই তদন্তে সহযোগিতা করা। অয়ন শীলের মতো আরও যাঁরা যুক্ত তাঁদের খুঁজে বার করতে যেন সিবিআই দ্রুত পদক্ষেপ করে সে কথাও বলেছেন বিচারপতি।

ইডির বক্তব্য, রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থা বলেছে, যে কায়দায় অয়ন শীলের সংস্থা ওএমআর শিট বিকৃত করে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিল তাতে সরকারি অফিসারদেরও যোগ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এসবের মধ্যেই আবার জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের ছেলের বান্ধবীর বাবা পুর দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তা ছিলেন। ইতিমধ্যে অয়নের স্ত্রী, ছেলে, বান্ধবীকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

শুধু তাই নয়। ইডি এদিন আরও বলেছে, শুধু পুরসভা নয়। জেলা পরিষদে নিয়োগেও কলকাঠি নেড়েছিল অয়নের সংস্থা। তবে এর শুরু বাম জমানায়। ২০০৯ সালে হুগলি জেলা পরিষদে নিয়োগের দায়িত্বে ছিল অয়ন শীলের সংস্থা। সেই সময়ে হুগলি জেলা পরিষদের সভাপতি ছিলেন অসিত পাত্র।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তা খারিজ হয়ে গিয়েছে এদিন। যা রাজ্য সরকারের কাছে ধাক্কা হিসাবেই দেখছেন অনেকে।

12 months ago
Ayan: ছেলের বান্ধবীকে ১ কোটি টাকার ফ্ল্যাট গিফট, অয়ন শীলের কাণ্ডকারখানায় তাজ্জব ইডি

নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) বাংলায় একের পর এক মহারথীদের গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। ইডির গ্রেফতারির পর বেরিয়ে এসেছে ওই মহারথীদের নামে-বেনামে সম্পত্তি। ঠিক সেরকম ভাবে অয়ন শীলের (Ayan Shil) গ্রেফতারির পর খোলসা হয়েছিল তাঁর সমস্ত সম্পত্তি। নামে-বেনামে সম্পত্তির হদিস করতে থাকে ইডি। অয়নের যে সম্পত্তির হদিস মিলছে সেই তালিকায় এবার যোগ হল ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম! ইডি (ED) সূত্রে দাবি, এই দুর্নীতিকাণ্ডে ইমনের ১ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পেয়েছে তারা। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের (Ayan Shil) পুত্র অভিষেকের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ইমন।

হুগলির শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পরই ইডির র‍্যাডারে আসে অয়নের নাম। তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারী গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন তিনি। জেরায় উঠে আসে একাধিক সম্পত্তির হদিস। এই মামলায় অয়নের স্ত্রী, পুত্র ও ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরা করে ইডি।

নিয়োগ মামলায় অভিষেকের বান্ধবী ইমনকে ডেকে পাঠায় ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সেই সময়ই তাঁর কিছু সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়। ইডির দাবি, অয়নের টাকাতেই কেনা হয়েছিল তা। ইডির আরও দাবি, অয়ন পুত্র অভিষেক ও ইমনের নামে যৌথ মালিকানায় একটি পেট্রল পাম্পও কিনেছিলেন অয়ন। এমনকী দু’জনের যৌথ মালিকানায় একটি ফার্মও আছে। আর এইসব সম্পত্তি কেনার টাকা জুগিয়েছেন অয়ন!

one year ago


ED: নিয়োগ-কাণ্ডে ইডির নজরে অয়ন শীলের ছেলের বান্ধবী, চলতি সপ্তাহেই ইমনকে তলব

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে আরও কড়া হচ্ছে ইডি। ইতিমধ্যে অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেছে ইডি। এবার এই কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। এই ইমন গঙ্গোপাধ্যায়, অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীলের বান্ধবী। জানা গিয়েছে, অয়নের পুত্রের বান্ধবী ইমন উত্তরপাড়ার অমরেন্দ্র সরণির বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়।

অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা ইমনের অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান ইডির। নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা অয়ন শীল, তাঁর আত্মীয় পরিজন, এমনকী ছেলের বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তাই আদৌ সত্য কী, উদঘাটনে এবার ইমনকে তলব ইডির। চলতি সপ্তাহে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অয়ন পুত্রের বান্ধবীকে। পাশাপাশি অয়ন শীলের সংস্থার গাড়ির চালক এবং কর্মীকে তলব করা হয়েছে। প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হবে। অন্যদিকে অয়ন শীলের আরও একাধিক ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছে ইডি। হুগলি জেলাতেই আরও আটটি ফ্ল্যাটের হদিশ মেলায় অয়নের ফ্ল্যাটের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬। বেনামে ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে ইডি।

one year ago
Shantanu: বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে প্রশ্নে নিরুত্তর, শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু

বিধায়ক (MLA) জীবনকৃষ্ণকে (Jibankrishna Saha) নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা বার্তা, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর। শান্তনু ও জীবন দু'জনের গ্রেফতারির কারণ এক এবং গ্রেফতার হয়েছেন বহু ছল-চাতুরির পর। বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত শান্তনুর শুনানি ছিল নগর দায়রা আদালতে। দুপুরেই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে আদালত চত্বরে আনা হয় তাঁকে। শান্তনুকে দেখেই উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তাঁকে। জানতে চাওয়া হয় জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি কি কিছু বলতে চান? জবাবে কিছুটা নির্বিকার ভাবেই শান্তনু বলেন, ‘সবাইকে নববর্ষ এবং ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

শান্তনুর বিরুদ্ধে স্কুল ছাড়াও আরও বিভিন্ন সরকারি চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে ইডি। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা এমনও দাবি করেছে যে, শান্তনুর সঙ্গে উপর মহলের অনেকের যোগাযোগ ছিল। অন্যদিকে, জীবনকৃষ্ণর বিরুদ্ধে যে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাতে বড়ঞার বিধায়কের অধীনে কয়েকশো এজেন্ট কাজ করত বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন জেলায় সেই এজেন্টরা ছড়িয়ে ছিল, এমনটাই সন্দেহ করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

প্রসঙ্গত, বুধবার নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের বাবা-মা ও স্ত্রীকে ইডির কলকাতার দফতরে তলব করে ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তাদের ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কিছু লেনদেন করেছিল অয়ন এবং সেই লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানতেন কিনা সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাদেরকে ডাকা হয়েছিল বলেই খবর। বুধবার সকালে ইডির দফতরে হাজির হয়েছিলেন অয়ন সিলেন বাবা-মা ও স্ত্রী। 

one year ago


Ayan: নিয়োগ-কাণ্ডে ইডির নজরে অয়নের ছেলে, ছেলের বান্ধবী এবং বান্ধবীর বাবা

নিয়োগ-কাণ্ডে (Education Case) ফের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে অয়ন শীল (Ayan Shil)। মঙ্গলবার অয়নের আইনজীবী সওয়াল করেন, 'রিমান্ড পিটিশনের তথ্য অনুযায়ী, যে এজেন্টের কথা বলা হয়েছিল তাঁকে শনাক্ত করা গিয়েছে। ১০ জন কমপক্ষে প্রাথমিক নিয়োগে (Primary Scam) শিক্ষক হিসেবে অবৈধ নিয়োগ পেয়েছে। এখানে বেশিভাগ বক্তব্য পুরসভার চাকরি নিয়ে, যেটা আসল অভিযোগ নয়। আমার মক্কেলের কোনওদিন চাকরি দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল না। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অয়ন শীলের কী সম্পর্ক সেটা পিটিশনে দেওয়া নেই।'

তিনি জানান, 'এটা সম্পূর্ণ আলাদা সেক্টর। কোনও নথি নষ্ট হয়নি। আমার মক্কেল ২৩ দিন হেফাজতে। অয়ন শীলকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজনীয়তা কী সেটাই বুঝতে পারছি না। যেকোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। যখনই তদন্তের স্বার্থে ডাকা হবে আসতে রাজি।' এই সওয়ালের প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী জানান, 'একজন লোক যে কখনও স্কুলে যায়নি একটি মালবাহী গাড়ি চুরি করতে পারে। কিন্তু কারও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা থাকে, তাহলে সে পুরো রেলপথ চুরি করতে পারে। এমনটাই বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট।'

 কেন্দ্রীয় সংস্থা জানিয়েছে, অভিষেক শীল অয়ন শীলের ছেলে। আর ইমন গঙ্গোপাধ্যায় অভিষেক শীলের বান্ধবী। এদের শরিকি ব্যবসা আছে। সংস্থার নাম M/S Fossils। সন্দেহ নিয়োগ দুর্নীতির সব টাকা পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায় খাটানো হয়েছে। একটা রেস্তোরাঁর ব্যবসা আছে, এটাও এঁরা ২ জন শরিক চালান। বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা ইমন। এই বিভাস গঙ্গোপাধ্যায় পুরসভার নগর উন্নয়ন বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা। এই তিনজন ইডির স্ক্যানারে আছেন। ২০১২-১৪ টেট পরীক্ষার দুর্নীতিতে কুন্তল-অয়ন-পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগ রয়েছে। জামিনের বিরোধিতা করে জেল হেফাজতে রাখার অনুরোধ করতে চাই।'

এরপরেই ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অয়ন শীলকে জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত।

one year ago
Aditi: 'রং দে বাসান্তী'র অভিনেতাকে 'ডার্লিং' বললেন অদিতি, নতুন প্রেমের গুঞ্জন

বলিপাড়ায় নতুন দুই যুগলের প্রেমের জোর চর্চা। অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারি (Aditi Rao Hydari) এবং 'রং দে বাসান্তী' খ্যাত অভিনেতা সিদ্ধার্থ সত্যনারায়ণ (Siddharth Satyanarayan) একসঙ্গে প্রেম করছেন। এমনই গুঞ্জন নেট দুনিয়ায়। বেশ কিছুদিন আগে অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায় সিদ্ধার্থের সঙ্গে 'টাম টাম' গানে নাচ করছেন তিনি। সেই ভিডিও নিয়ে নিমেষেই চর্চা শুরু হয়ে যায়। একাধিক অনুষ্ঠানেও তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। এবার সামাজিক মাধ্যমেই সিদ্ধার্থের জন্য নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করলেন অদিতি।

View this post on Instagram

A post shared by Aditi Rao Hydari (@aditiraohydari)

সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে সিদ্ধার্থ ও বন্ধুদের সঙ্গে একটি ছবি দেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, 'এই আমরা ভীষণ প্রিয়। আমার প্রিয়রা ধন্যবাদ। আমি তোমাদের ভালোবাসি। তোমরাও আমাকে ভালোবাসো, জানি।' অদিতির এই পোস্টের নিচে উত্তর দিয়েছেন সিদ্ধার্থ। তিনি লিখেছেন 'আদুর মতো কেউ নেই।' সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের এই বাক্যালাপ স্বাভাবিকভাবেই নজরে পড়েছে নেটিজেনদের। এই নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে।

 এক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গিয়েছিলেন অদিতি এবং সিদ্ধার্থ। পাপারাৎজিরা সেখানে তাঁদের দেখে মন্তব্য করেন,'লাভলি কাপল।'এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেনি কেউই। তবে অদিতি তাঁর লাজে রাঙা মুখে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কিছু তো ঘটছে তাদের মধ্যে। এর আগে অদিতি বিয়ে করেছিলেন সত্যদীপ মিশ্রকে। তবে বিচ্ছেদও হয়ে যায় তাঁদের মধ্যে। কিছুদিন আগেই সত্যদীপ বিয়ে করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তাকে। এবার বোধহয় অদিতিও নিজের জীবন নতুন করে সাজাবেন।


one year ago
Governer: অশান্তি রোখার গুরু দায়িত্ব কি তাঁর, কলকাতার রাস্তায় রাজ্যপাল! খেলেন ছাতু

'আমি রাজ্যপালকে এই প্রথম দেখলাম রাস্তায় ছাতু খেতে।' রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দেখে নিজের বন্ধুকে এমনই বলে উঠলেন স্থানীয় এক তরুণী। সকাল ১১ টা নাগাদ পোস্তায় গিয়েছিলেন জোড়াসাঁকোর বাসিন্দা মুন্নি সেনগুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধু শুভশ্রী দত্ত। দু'জনের এই আলোচনা যেন গোটা রাজ্যের মুখে। হিংসা-অশান্তি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন আগেই। এবার হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) কলকাতার (Kolkata) রাস্তায় নেমে, রাজ্যপাল (Governer) স্বয়ং সরজমিনে ঘুরে দেখলেন বিভিন্ন এলাকা। খেলেন ছাতুও। রাজ্যপালের এই পরিদর্শনকে বেনজির বলছেন রাজ্যবাসী-সহ রাজনৈতিক মহলও।

আগেই বলেছিলেন, 'সংবিধান মেনে কাজ করা হবে।' সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে। সূত্রের খবর, কলকাতা-সহ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি, মঙ্গলবার তিনি হিংসার মুখে আহত ব্যক্তিকে দেখতে যান এসএসকেম হাসপাতালে। তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তীতে হিংসা রোখা যেন তাঁর গুরুদায়িত্ব সেটা তিনি বুঝিয়ে দিলেন আবারও। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের পায়ে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি, দেখলেন আধা সামরিক বাহিনীর টহলদারি। তিনি সকালে লেকটাউনে পুজো দিলেন, এরপর কলকাতার একবালপুর এলাকা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। ওখান থেকে পৌঁছে যান পোস্তাতেও।

স্থানীয় দোকান থেকে খান ছাতুও। সবশেষে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে সম্প্রতির বার্তাও দেন। সম্প্রতি রামনবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা। হাওড়া,হুগলি, উত্তর দিনাজপুরের কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে, পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। বুধবার দিনই হাইকোর্টের নির্দেশে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল হনুমান জয়ন্তীতে আধাসেনা দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কথা।

সম্প্রতি রামনবমীর মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির রিষড়া এলাকা, হিংসা ছড়িয়ে পড়ে রেললাইনেও। হাওড়ার ঘটনার পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পুলিসকে সতর্ক হওয়ার কথা বলেন। তারপরেই দুই ধাপে অশান্তি-হিংসা ছড়িয়ে পরে রিষড়ায়। খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে কলকাতায় ফিরে আসেন রাজ্যপাল। সেদিনই রিষড়ায় যান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি এবং রিষড়ায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথাও বলেন। সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দেন যে, হিংসা বরদাস্ত করা হবে না। হিংসাকারীকে শাস্তি দেওয়া হবে। ওখানে তিনি পুলিসকেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

one year ago


HanumanJayanti: নামল আধাসেনা, হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কড়া নির্দেশিকার মধ্যে সতর্ক প্রশাসনও

হাইকোর্টের নির্দেশ মত আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলের আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং অশান্তি এড়াতেই কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, ব্যারাকপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় আধাসেনা নামানো হয়েছে। যদিও বুধবার বিকেল থেকেই স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতে নামানো হয়েছে সেনা। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও অবধি মোট ৩ কোম্পানি সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এ রাজ্যের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতেও তাঁরা থাকবেন।

রাম নবমীর মিছিলে অশান্তির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলি, হাওড়া সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ কয়েকটি এলাকা। তারপরই এই অশান্তি নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে, সেই মামলায় বুধবার বিচারপতি টি শিবগ্নানাম ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে বলেন, 'অশান্তি রুখতে প্রয়োজনে রাজ্য আধা সেনা নামাতে পারবে।' বুধবার রাজ্যপক্ষের আইনজীবীকে বিচারক পরিষ্কার জানিয়ে দেন, 'মানুষের নিরাপত্তা জরুরী। যে কোনওরকম উপায়ে মানুষের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই হিংসা কোনওরকমভাবে মেনে নেওয়া যায় না।' তারপরেই রাজ্যকে হনুমান জয়ন্তীতে আধাসেনা নামানোর নির্দেশ দেয়।

আদালতের নির্দেশের পর, বুধবার দিঘায় অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে বলেছেন, 'হাই কোর্টের রায় আমাদের পক্ষে ভাল হয়েছে। প্রশাসনও নিজের মতো করে শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ করতে পারবে।' আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে হনুমান জয়ন্তী পালনের জন্য এদিন অন্যান্য রাজ্যকেও নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

এছাড়া অশান্তি রুখতে, রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও অনেক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রেই খবর, এই হনুমান জয়ন্তীর মিছিলের অনুমতি নিতে হবে অনলাইনে। সেখানে একটি আবেদন পত্রের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পাশাপাশি সূত্রের খবর রামনবমীর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, হনুমান জয়ন্তীতে অতিরিক্ত সতর্ক থাকবে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া রাজ্য প্রশাসনের তরফে, হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যেমন কলকাতা মহানগর এলাকায় হনুমান জয়ন্তীর কোন মিছিলে ১০০ থেকে ১৫০ জনের বেশি মিছিলে আসতে পারবে না। এবং যারা মিছিলে আসবেন তাঁদের নাম এবং সবিস্তার পরিচয় থানাকে জানাতে হবে।

প্রশাসন সূত্রেই খবর, রামনবমীর অশান্তির পর হনুমান জয়ন্তীতে যাতে কোনভাবে নতুন করে অশান্তি না হয়, সেই জন্য বাইক মিছিল একেবারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং কোনভাবেই ডিজে বাজানো, মিছিলে অস্ত্র নিয়ে আসা, এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য চলবে না। প্রশাসন সূত্রে আরও খবর, মিছিলের আগেই পথ নির্দেশিকা দিতে হবে থানাকে। সেটাকে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। যদি কোন রকম কোন অশান্তির আঁচ পাওয়া যায়, তবে সেই মিছিলকে অন্য অন্যদিকে ঘোরানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা অঞ্চলে ৭০-৮০ টি হনুমান পুজো হবে, এবং ৫-৬টি মিছিল হতে পারে। এছাড়া বুধবার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কোন দলীয় নেতা এই মিছিলে বক্তব্য দিতে পারবে না।


one year ago
Shah: হনুমান জয়ন্তীতে অশান্তি এড়াতে সতর্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিশেষ বার্তা দিলেন ট্যুইটে

হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সতর্কবার্তা জারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর। রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলকে কেন্দ্র করে ঝামেলা-অশান্তি সৃষ্টির কারণে এবার হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার, হনুমান জয়ন্তীতে যাতে সব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেই জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি সেরে নিতে বুধবার রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। রবিবার থেকে রামনবমীর মিছিল ঘিরে বিক্ষিপ্ত ঘটনায় অশান্ত হয়েছে হাওড়া-হুগলি। অগ্নিকাণ্ড, ভাঙচুর, বোমাবাজির কারণে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তীর মিছিল ঘিরে যাতে নতুন করে আর কোনও অশান্তি তৈরি না হয়, তাই ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইট শেয়ার করে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘হনুমান জয়ন্তীতে প্রস্তুতি নিয়ে সমস্ত রাজ্যকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শ, যেন আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে এই উৎসব পালন করার দিকে লক্ষ্য রাখা হয়। সেই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এমন বিষয়গুলির উপর কড়া নজরদারি রাখা হয়।’


one year ago


Mother: নারায়ণপুরে মাকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ ছেলের, তাজ্জব পুলিস

মাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ ছেলের। অভিযুক্তর এহেন আচরণে তাজ্জব পুলিসকর্মীরা। নারায়ণপুর থানা এলাকার পূর্বাচলের এই ঘটনায় সকাল থেকেই চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ছেলে থানায় গিয়ে দোষ স্বীকার করেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেন পুলিসের কাছে। পুলিস সূত্রের খবর, ৩০ বছর বয়সী সোমনাথ সাঁতরা ও তাঁর মা লক্ষ্মী সাঁতরা। নারায়ণপুরের পূর্বাচল ২১ নম্বর লেনে থাকতো মা-ছেলে।

জানা গিয়েছে, কয়েক মাস যাবৎ ছেলে সোমনাথের কাজ চলে গিয়েছে। এরপর তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। এই মুহূর্তে সেভাবে কোনও কাজকর্ম করতেন না সোমনাথ। যার ফলে আর্থিক অনটনে চলছিল পরিবার। এমনকি সোমনাথ সাঁতরা বিবাহিত হলেও স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন।

এসব কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সোমনাথ। সোমবার রাতে মায়ের সঙ্গে বিবাদ হয় সোমনাথের। অভিযোগ এরপর মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সোমনাথ। তারপর নিজেই নারায়ণপুর থানায় গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আত্মসমর্পণ করেন। সোমনাথের কথা শোনার পর, পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্মী সাঁতরার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে এই হত্যার পিছনে মানসিক অবসাদ না আর্থিক অনটন, নাকি অন্য কোন বিষয় তা তদন্ত করে দেখছে নারায়ণপুর থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া।

one year ago
Brahmastra: কবে মুক্তি ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট দুই এবং তিনের, জানুন সম্ভাব্য দিনক্ষণ

'ব্রক্ষ্মাস্ত্র' ছবির ভক্তদের জন্য সুখবর! খুব শীঘ্রই ব্রক্ষ্মাস্ত্রের দ্বিতীয়-তৃতীয় পার্ট বড় পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে। আর এই খবর খোদ জানালেন 'ব্রক্ষ্মাস্ত্র'-র পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায় (Ayan Mukherjee)। মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে দুটি ছবি শেয়ার করে এই খবর প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। যেখানে জানানো হয়েছে, ব্রক্ষ্মাস্ত্র-র দ্বিতীয় ও তৃতীয় অংশ ২০২৬ ও ২০২৭ সালে মুক্তি পেতে চলেছে।

পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বহু প্রতীক্ষিত ছবি ব্রক্ষ্মাস্ত্র ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। দর্শকদের থেকে অনেক কটাক্ষের শিকার হওয়ার পরেও বক্স অফিসে সাড়া ফেলেছিল ছবিটি। ভেঙেছে একাধিক ছবির রেকর্ড। দুর্দান্ত ভিএফএক্স নজর কেড়েছিল দর্শকদের। তবে ছবির স্ক্রিপট একেবারেই গ্রহণযোগ্য ছিল না বলে প্রতিক্রিয়া ছিল দর্শকদের। ফলে অনেক ট্রোলেরও শিকার হতে হয়।

তবে এই ছবির জন্য উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে ও এর দ্বিতীয়-তৃতীয় পার্ট নিয়ে অনেকটা উৎসুক সাধারণ মানুষ। ব্রক্ষ্মাস্ত্র ট্রিলজির প্রথম পার্ট ব্রক্ষ্মাস্ত্র: শিবা মুক্তি পেতে বহুদিন সময় লেগেছিল। ফলে দ্বিতীয়-তৃতীয় পার্ট কবে আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল জনসাধারণের। এবারে প্রতীক্ষার অবসান। অয়ন নিজেই পোস্টার শেয়ার করে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পার্ট ২০২৬ সাল ও তৃতীয় পার্ট ২০২৭ সালে ডিসেম্বর নাগাদ মুক্তি পাবে। আর এই দুয়ের শ্যুটিং একসঙ্গেই করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম ছবিতেই জনসাধারণের থেকে এত ভালোবাাসা, শুভেচ্ছা পাওয়ার পর তিনি পরের পার্টগুলো তৈরি করতেও বেশ আগ্রহী। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, পরের ছবির স্ক্রিপটে বিশেষ জোর দিতে হবে। এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এই ছবির পাশাপাশি আরও একটি সিনেমা পরিচালনা করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তবে সেই বিষয়ে ঠিক সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।


View this post on Instagram

A post shared by Ayan Mukerji (@ayan_mukerji)

one year ago
Firhad: চিরকুটে চাকরি হয় নাকি,উদয়নকে কটাক্ষ ফিরহাদের

নিয়োগ দুর্নীতিতে বামেদের (Cpim) বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan guha)। বাম আমলের কৃষিমন্ত্রী (Minister), নিজের বাবা কমল গুহকে আক্রমণ  করতে ছাড়েননি তিনি। শনিবার মন্ত্রী বলেন, ' বাবা একটা লিস্ট করে পাঠাত, সেই লিস্ট অনুযায়ী চাকরি হত।' এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন, রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে, এই বিষয়ে মন্ত্রী ফিরহাদকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, 'ও পাগলের মত কি বলেছে জানা নেই। '

দুজনেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী, একজন পুর দফতরের এবং একজন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী।  উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী দাবি করলেন, ' আমার বাবাও বাম আমলে চিরকুটে চাকরি দিয়েছেন, আমার সুপারিশেও হয়েছে চাকরি। ' এরপরেই অপর মন্ত্রী অর্থাৎ পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম উদয়নকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'ও একটা পাগল লোক।'  পাশাপাশি ফিরহাদ শনিবার বলেন, 'চিরকুটে চাকরি হয় নাকি? অন্তত একটা অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন।' নিজের দলের মন্ত্রীর বেলাগাম মন্তব্য ঢাকতে, মন্ত্রীকেই পাগল বললেন ফিরহাদ।

এ বিষয়ে বামদের কটাক্ষ, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে ফিরহাদ, কুনাল বাবু-সহ দলের অন্যদের বিপাকে ফেলছেন না তো? শিক্ষায় অবৈধ নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের নাম জড়ানোর পর তৃণমূলেরই সিংহভাগের দাবি ছিল, বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হত। তাহলে এত দিন ধরে নিশ্চই দাবি করে এসেছেন তৃণমূল নেতারা।

one year ago


Udayan: বাম আমলকে দুষতে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মৃত বাবাকেও বিঁধলেন মন্ত্রী উদয়ন

মনি ভট্টাচার্য: 'বাম আমলে চাকরি ভাগ হত, অনেককে চাকরি (Job) দিয়েছেন আমার বাবা, আমিও অনেকের জন্য সুপারিশ করেছি,' এই মন্তব্য খোদ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী (Minister) উদয়ন গুহের। তাঁর অভিযোগের তীর বাম আমলের নিয়োগের দিকে, উদয়ন গুহ (Udayan guha) সিএন-ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেন, 'নিজের দলের ছেলেদের চাকরি দেওয়া দুর্নীতি হলে, আমিও সেই দুর্নীতিতে যুক্ত, বাম আমলে আমিও অনেককে চাকরি দিয়েছি।' যদিও এর পাল্টা উত্তরে সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, 'বাম আমলে যদি ওর বাবা আর উনি চাকরির সুপারিশ করে থাকেন, ভালো তো, তাঁর বাবাকে তো আর পাওয়া যাবে না, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে বলুক, জেলে ঢুকিয়ে বাটাম দিলেই, বলে দেবে কাকে চাকরি দিয়েছে, কে অযোগ্য ছিল।'

উদয়ন গুহ বামেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নিজের বাবাকেও দোষী বলতে ছাড়েননি। শনিবার উদয়নবাবু বলেন, 'বাম আমলে চাকরির জন্য আমিও সুপারিশ করেছি, আমি যখন সুযোগ পেয়েছি, আমিও চাকরি দিয়েছি, এবং সেক্ষেত্রে আমি যাকে চাকরি দিয়েছি, তার থেকে কী যোগ্য প্রার্থী ছিল না!' শনিবার তিনি আরও বলেন, 'যে আমার দল করত, তাকে চাকরি দিয়েছি।' এখন মন্ত্রী হিসেবে আপনি কাউকে সরকারি চাকরি দিয়েছেন? বা সুপারিশ করেছেন? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি তো মন্ত্রী হিসেবে তিনজনকে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে নিয়েছি, আমি কি অন্য দলের কাউকে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে নেব? আমার অধিকার আছে ৩ জনকে নেওয়ার তাই নিয়েছি।'

শনিবার, মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, 'বাম আমলে দুজন করে অ্যাটেনডেন্ট নিয়েছে প্রতিটা মন্ত্রী। প্রতি বছর নিয়োগ করেছে, প্রতি বছর ওই দুজন করে পার্মানেন্ট হয়ে গিয়েছে। আবার দুজনকে নিয়েছে, জ্যোতি বাবু করেননি? বুদ্ধবাবু করেন নি? হয়ত বুদ্ধবাবু নাম সাজেস্ট করেননি। কিন্তু বামদের কেউ নাম সাজেস্ট করেছে আর প্রতি বছর অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ করেছে, আর পুরোনো দুজনকে পার্মানেন্ট করেছে।' এবিষয়ে শনিবার সিএন ডিজিটালকে সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, 'অ্যাটেনডেন্ট কোনও সরকারি পদ নয়, বুদ্ধবাবুর অ্যাটেনডেন্ট বামেদের দলের, কেউ হবে না তো কি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো হবে? উনি ফালতু বকছেন, বুদ্ধবাবুর অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন জয়দীপ মুখার্জী, সে এখন গণশক্তির হোলটাইমার।'

শনিবার উদয়ন গুহ আরও বলেন, 'কেউ সাধু নয়, আবারও আমি বলছি, দুর্নীতি মানে ৫ টাকা নিলেও দুর্নীতি, ৫০০০ টাকা নিলেও দুর্নীতি, ৫ লক্ষ টাকা নিলেও দুর্নীতি। আমার হোলটাইমারকে আমি টাকা দিতে পারছি না, দল টাকা দিতে পারছে না, তার বদলে তাঁর বৌকে একটা সরকারি চাকরি পাইয়ে দিলাম সেটাও দুর্নীতি। এসব কংগ্রেস আমলে হয়েছে, বাম আমলে হয়েছে, এখনও হচ্ছে, যদি এটাকে দুর্নীতি বলেন, আপনারা সবাই ভাবের ঘরে চুরি করছেন।' তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূল দীর্ঘদিন ঘরে ক্ষমতায় আসার পরেও বাম আমলে নিয়োগ নিয়ে কেন আদালতে যাচ্ছেন না, কেন তদন্ত করছেন না? এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীমশাই বলেন, 'এটা তো নিয়ম আছে, প্রত্যেক মন্ত্রী, বছরে দুজন-তিনজন করে অ্যাটেনডেন্ট নিয়ে তাদের চাকরি পাকা করে দিয়েছে। তাহলে সেটা যদি অন্যায় না হয় এখন কেন অন্যায় বলা হচ্ছে?'

তিনি আরও বলেন, 'প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ হত কোচবিহার জেলা-সহ গোটা রাজ্যে, সিপিআইএম পেত ৬০ শতাংশ, ফরওয়ার্ড ব্লকের ভাগে যেত ৫ শতাংশ , আর আরএসপি-সিপিআই পেত ৫ শতাংশ, সেখানে মাধ্যমিক পাশ হলেই চাকরি হয়ে যেত। সেখানে কোনও কোয়ালিফিকেশনের ব্যাপার ছিল না!' পরবর্তীকালে পরীক্ষা চালু করল, ৯০ দশকে বামেরা যত পারলো লোক ঢুকিয়ে নিলো, শেষবেলায় এসে সতীত্ব দেখানোর জন্য তারা পরীক্ষা চালু করলো। এভাবেই পূর্বতন বাম জমনাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।

one year ago
Kamarhati: চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, বিধায়ক জেলে যাবে, কেন এই মন্তব্য পুরপ্রধানের?

জেল খাটতে হলে চেয়ারম্যান (Chairman) খাটবে, কাউন্সিলর খাটবে, বিধায়ক খাটবে, এমপি খাটবে, কিন্তু কর্মচারীরা যেখানে ছিল সেখানেই থাকবে। মন্তব্য কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহার। কিন্তু কেন এমন বললেন তিনি? কারণ, অয়ন শীল (Ayan Shil) গ্রেফতার হয়েছে। রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় করে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠেছে ৭০টি পুরসভার। অয়নকে গ্রেফতারির পর মধ্যখানে কেটে গিয়েছে ৩-৪টে দিন। বিতর্কের মাঝেই কামারহাটি পুরসভায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্বেতা চক্রবর্তী।  আগেই জানিয়েছিলাম, শ্বেতা কামারহাটি পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। সেই পদেই নিজের কাজে যোগ দেন তিনি। শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন খোদ কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।

শুক্রবার মদন মিত্র শ্বেতার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার পর, শ্বেতাকে জিজ্ঞেস করা হলে শ্বেতা জানান, 'উনি আমাদের বিধায়ক, উনি আসতেই পারেন।' পাশাপাশি শুক্রবার নিয়োগ বিতর্কে শ্বেতার নাম জড়ানোয়, ওই পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, 'যদি জেল খাটতে হয়, চেয়ারম্যান খাটবেন, কাউন্সিলর খাটবেন, বিধায়ক খাটবেন, এমপি খাটবেন। কিন্তু কর্মচারীরা যেখানে ছিল সেখানেই থাকবেন। এর কোনও ব্যতিক্রম হবে না। যদি অন্যায় আমরা করে থাকি তাহলে শাস্তি আমাদেরই হবে। প্রত্যেকেই সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে।' কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা আরও বলেন, 'হাসিমুখে কাজ করুন। সাধারণ মানুষকে তাঁদের পরিষেবাটা দিন।'

one year ago