Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Ayan

Shweta: 'আমি মহিলা, আমাকে নিয়ে রঙ চড়িয়ে কথা বললে মানুষ গিলবে,' সাক্ষাৎকারে বললেন শ্বেতা

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) তদন্ত এগিয়েছে। জলও গড়িয়েছে অনেক দূর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। গ্রেফতার হয়েছেন তৎকালীন বেশ কিছু সচিবও। সেই সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু, দালাল কুন্তল, অয়ন শীল সহ প্রমুখ ব্যক্তিগণ। অপরাধের তল পেতে ইডি এবার গ্রেফতার করেছে অয়ন শীল নামক এক প্রোমোটার ও সরকারি পঞ্চায়েত সচিবকে। যার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বহু নথি, সম্পত্তির কাগজ, ওএমআর শিট সহ বিভিন্ন নথি। যা ঘেটে ইডির কাছে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, শুধু শিক্ষা দুর্নীতি নয়, দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যের বহু দফতরে। নিয়োগ হয়েছে দেদারে, সেসঙ্গেই বেমালুম টাকা তুলেছেন এই অভিযুক্তরা। এখন তবে বিতর্কের কেন্দ্র কী শুধুই নিয়োগ? 

শিক্ষক নিয়োগে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছেন এ রাজ্যের শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রী সহ তৃণমূল নেতারা। কমবেশি তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে যোগ রয়েছে এক রহস্যময়ীর নারীর। প্রত্যেকের বাড়ি, অফিস ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় নথি। তা খতিয়ে দেখে ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকের সঙ্গেই রহস্যময়ীদের গভীর যোগযোগ আছে। লেনদেন হতো মোটা অঙ্কের টাকা। কেউ পেতেন বিলাসবহুল গাড়ি, আবার কেউ পেতেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবুর বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫০ কোটি নগদ টাকা সহ মোটা অঙ্কের গহনা, সম্পত্তি ও জমিজমার নথি। যার কিছুটা পার্থ, কিছুটা পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে।

ঠিক একইভাবে গ্রেফতারির পর অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে নাম পাওয়া গিয়েছে শ্বেতা চক্রবর্তী নামের এক নারীর। কে এই নারী? কী পরিচয় তাঁর? কেন তাঁর নাম উঠছে? কী করে তাঁর সঙ্গে অয়নের যোগাযোগ? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সংবাদমাধ্যম। শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। শিরোনামে ওঠার পর অবশ্য ফাঁস হয় আরও তথ্য।

জানা গিয়েছে, কামারহাটি পুরসভার সামনে একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকেন অয়ন এবং শ্বেতা। একজন বন্ধু-বান্ধবী এক ফ্ল্যাটে থাকলে সমস্যা কোথায়? খোঁজ করে ওই আবাসনের এক কর্তার মারফত জানা গিয়েছে, ওই আবাসনে মামা-ভাগ্নি পরিচয়ে থাকতেন শ্বেতা ও অয়ন। যার পরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তোলে সংবাদমাধ্যম। সে সঙ্গে ইডি জানিয়েছে অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে শ্বেতার ব্যাঙ্কে লেনদেনের কথা, সব মিলিয়ে জটিল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যদিও এ সমস্ত ঘটনার পরিপেক্ষিতে বুধবার শ্বেতার স্পষ্ট জবাব, 'আমি মহিলা, আমাকে নিয়ে রঙ চড়িয়ে কথা বললে মানুষ গিলবে, টিআরপি বাড়বে, সে জন্যই মিডিয়া এমন প্রচার করছে।'

অয়নের গ্রেফতারির পর কার্যত নিখোঁজ ছিল শ্বেতা। তাঁর বাড়ি গিয়েও মেলেনি দেখা। শ্বেতার পরিবারের কেউ কথা বলতে চাননি। বুধবার সিএনকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি অনেক কিছুই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। শ্বেতা চক্রবর্তী নৈহাটী পাল পাড়ার বাসিন্দা। ২০১৫ সালে পরীক্ষা দিয়ে হুগলি জেলার একটি পঞ্চায়েতে সহকারীর চাকরি পান। সেখান থেকে ২০১৬ সালে হগুলির ডুমুরদহ ১ নং পঞ্চায়েতে পোস্টিং হন। সেখানেই অয়ন শীলের সঙ্গে আলাপ বলে জানান তিনি। আমাদের প্রতিনিধি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ২০১৮ সালে সোমরা ১ নং পঞ্চায়েতে পোস্টিং হলেও সেখানে যোগ দেননি শ্বেতা। বুধবার আমাদের সাংবাদিককে শ্বেতা জানান, '২০১৯ সালে পুরসভায় চাকরিতে যোগ দেন।'

অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে লেনদেনের প্রসঙ্গে শ্বেতাকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, 'অয়ন শীল প্রোমোটার ছিল। অয়নের থেকে ফ্ল্যাট কিনি। পরে সেই ফ্ল্যাট নেব না বলে ঠিক করি। সেই টাকাই অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে আমার ব্যাঙ্কে পাঠিয়েছিলেন অয়ন।' তিনি জানান, 'আমাদের সঙ্গে যা লেনদেন ও চুক্তি ছিল সবই আইনি পদ্ধতি মেনে। অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে আরও ব্যাঙ্কে লেনদেন হয়েছিল, তাঁদেরকে কেন ধরছেন না।'

বুধবার সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমি মহিলা, আমাকে নিয়ে রঙ চড়িয়ে কথা বললে মানুষ গিলবে, টিআরপি বাড়বে। সে জন্যই মিডিয়া এমন প্রচার করছে। আমার মান-সন্মান, ব্যক্তিগত জীবন সবই নষ্ট করছে।' এছাড়া তিনি বলেন, 'কাজের বাইরে অয়নের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ ছিল না। ইডি যদি ডাকে যাবেন? ওই প্রশ্নের উত্তরে শ্বেতা বলেন, 'অবশ্যই যাবো, এখনও ডাকে নি, ডাকলে অবশ্যই যাবো। মামা - ভাগ্নি পরিচয়ে থাকা নিয়ে উনি বুধবার কিছু বলেননি।'

one year ago
Film: কৌশিক গাঙ্গুলির পরিচালনায় অয়নের ছবিতে ঋত্বিক-সোহিনী, বিতর্কে কী প্রতিক্রিয়া?

মনি ভট্টাচার্য: নিয়োগ-কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের পর এবার অয়ন শীল প্রযোজিত সিনেমা (Bengali Film) রাজ্য রাজনীতির চর্চায়। কুন্তলের মতোই নিয়োগ-কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার অয়ন শীল। জানা গিয়েছে, তাঁর প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে তৈরি ছবির পরিচালক জাতীয় পুরস্কারজয়ী কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)। অয়নের প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে তৈরি কবাড্ডি-কবাড্ডি ছবিতে অভিনয় করেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার এবং অর্জুন চক্রবর্তীর মতো টলিউডের পরিচিত মুখ। এমনকি এই ছবিতে নাকি অভিনয় করেন অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীও। ছবির একটি অনুষ্ঠানে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তীদের (Rittik Chakraborty) সঙ্গে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকেও। এবার শিক্ষা দুর্নীতিতে এই ছবির প্রযোজক অয়নের নাম জড়ানোর পর, তাঁর প্রযোজিত সিনেমা নিয়ে কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় কি টলিউডের উল্লিখিত পরিচিত মুখ?

ইতিমধ্যে সামনে এসেছে অয়নের সংস্থার ব্যানারে হওয়া, কবাড্ডি-কবাড্ডি সিনেমার টাইটেল-লঞ্চের ছবি। এই প্রসঙ্গে সিএন ডিজিটালের তরফে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, 'শ্বেতা ওই সিনেমায় অভিনয় করেছেন, তাই ওই সিনেমার টাইটেল লঞ্চে একই মঞ্চে সবাইকে দেখা গিয়েছে। এর বেশি শ্বেতার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। প্রযোজকের আয়ের উৎস অবশ্যই জানা উচিত, কিন্তু একজন অভিনেতার পক্ষে সেটা সবসময় জানা হয়ে ওঠে না।'

এই অভিনেতা আরও বলেন, 'সিনেমায় অভিনয় করার পর সাধারণত এধরনের বিতর্ক কোনওভাবেই কাম্য নয়। একটা ছবি করার সময় প্রযোজকের সমস্ত তথ্য, কাগজপত্র একজন অভিনেতার পক্ষে খতিয়ে দেখা হয়ে ওঠে না।'

তবে ইডি যদি তদন্তের স্বার্থে আমাকে ডাকে, তবে নিশ্চয় যাবো। সিএন ডিজিটালের কাছে এই মন্তব্য করেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। এদিকে, এদিন এবিষয়ে কথা বলার জন্য পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ওই সিনেমায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। মঙ্গলবার সোহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, ব্যস্ততার কারণে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারেননি অভিনেত্রী।

one year ago
Agent: রাজ্য জুড়ে পাতা নিয়োগ দুর্নীতির জাল, বিস্ফোরক ইডি

অয়নের নথি হাতড়ে এবং ধৃত অয়নকে জেরা করে এজেন্টদের তথ্য বার করে ফেললো ইডি। এই তালিকায় রয়েছে একাধিক এজেন্ট দের নাম। যাদের মাধ্যম দিয়ে দুর্নীতি চালাত অয়ন। ইডির সূত্র অনুযায়ী, কানুদা, এমডি, তপনদা, লাল, কানুদা এসব নাম উদ্ধার করেছে ইডি। যদিও এদেরপরিচয় এখনও জানা যায়নি বলেই খবর, সেসব তথ্য, নথি, ইডি খুঁটিয়ে পরীক্ষার পর আরও নাম, এবং তথ্য উঠে আসবে বলেই দাবি করেছে ইডি।  ইডির তালিকা থেকে আরও জানা যায় যে, এদের মধ্যে কেউ ৯৬ জন প্রার্থীর তালিকা পাঠিয়েছিল অয়নের কাছে। ওই চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর, পদ, পুরসভা, বিভাগ-সহ বিস্তারিত বিবরণও  রয়েছে। এছাড়া জানা যায় ৬৮ জন প্রার্থীর নামের তালিকা পাঠিয়েছে লাল।  ৪৩ জন প্রার্থীর নামের তালিকা পাঠিয়েছে এমডি, ১৫ জন ক্যান্ডিটেড নামের লিস্ট পাঠিয়েছেন তপনদা।  এ সমস্ত লিস্ট আদালতেকে জানিয়েছে বলে দাবি ইডির।

সে সঙ্গেই উদ্ধার অয়নের সঙ্গে এক রহস্যময়ী নারীর যোগ। যে নারীই নাকি অয়নকে সমস্ত নথি সরিয়ে ফেলতে বলে মেসেজ করেছিল। সে মেসেজও ইডি উদ্ধার করেছে অয়নের ফোন থেকে। ইডি সূত্রেই খবর, অয়ন শীলের এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী আছেন, যার নাম শ্বেতা চক্রবর্তী, যিনি  নৈহাটি জেলাপাড়াতে থাকেন। তথ্য যাচাই করে ইডি জানতে পেরেছে যে, কামারহাটি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতো শ্বেতা। বাবা প্রাক্তন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। সূত্রের খবর, শ্বেতা কে অয়ন শীল দামি গাড়ি উপহার দিয়েছিলো। সেই গাড়ির রিসিভ, অর্থাৎ স্বেতা চক্রবর্তীর নামে যে গাড়ি কেনা হয়েছিল তার বিল উদ্ধার করেছে ইডির কর্তারা। এছাড়া আরও খবর , অয়নের বাড়ি থেকে শ্বেতার ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানোর রশিদ উদ্ধার হয়েছে। শ্বেতা-অয়ন শীলের প্রমোটারির ব্যাবসায় মদত দিত বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি সোমবার ইডি তল্লাশির পর জানিয়েছে, অয়নের ঘর থেকে মিলেছে  বেশ কয়েকটি ডিপোজিট স্লিপও। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে আরও কয়েকটি মানি রিসিপ্ট, ধনেখালি, কেএলসি, ভাঙড় থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি জমি এবং দিল্লি এনসিআর এলাকায় কাকলি শীলের নামে কেনা সম্পত্তির নথি। পাশাপাশি সই করা চেকের পাতা, কয়েকটি ল্যাপটপ, কম্পিউটার, হার্ড ডিস্কও পেয়েছে ইডি।

one year ago


Scam: টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ, বাবা-ছেলের মৃত্যুতে অয়ন যোগ?

ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের (Ayan Seal) বিরুদ্ধে অভিযোগ বাড়ছেই। পূর্বে অভিযোগ ছিল টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিতেন অয়ন। সোমবার সকালে অয়নের গ্রেফতারির পর সামনে আসে টাকা নিয়েও চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ অয়নের থেকে টাকা উদ্ধার করতে না পেরে আত্মহত্যা (Scicide) করেন ওই যুবক ও তাঁর বাবা। সোমবার অবধি ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনুর নির্দেশে এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা তুলতেন অয়ন শীল। বিনিমিয়ে ছিল অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ।

সে-সঙ্গেই অভিযোগ ছিল এ রাজ্যের প্রায় ৭০টি পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর।  যথাক্রমে সময় গড়িয়ে গেলে নিয়োগ দুর্নীতি যোগে নাম উঠেছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ও দমকল বিভাগের। সে সমস্ত নথি অয়নের বাড়ি, অফিস থেকে উদ্ধার করেছে ইডির আধিকারিকেরা। দীর্ঘ ৩৭ ঘন্টা জেরা ও তল্লাশির পর আজ তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। সোমবার তাকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পেশ করা হয় বলে খবর। 

অয়নের গ্রেফতারির পরই মুখ খুলেছেন এক অয়ন ঘনিষ্ঠ। তাঁর একসময়ের শাগরেদ পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী। সোমবার দুপুরে পূর্ণেন্দু বলেন, 'একটা সময়ে অয়নের টাকা তোলা দেখে, আমি ওর সঙ্গ ছেড়েছিলাম। কিন্তু ও আমাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছিল ও প্রাণে মেরে দেবারও চেষ্টা চালিয়েছিল। সেসময় আমি ওর বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। কিন্তু পুলিস কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।'

সোমবার অয়নের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অয়নের প্রতিবেশীরা, তাঁরা জানান, ব্যান্ডেল দেবানন্দপুর এলাকায় ২০১৮ সালে বাবা ও ছেলের রহস্যজনক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল ঘর থেকে। মৃত শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায় এবং তার ছেলে রূপকুমার চট্টোপাধ্যায় মৃত্যুর ঘটনাতে নাম জড়ায় অয়নের। স্থানীয়দের দাবি, ওই ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট যে নোটে অয়ন শীলের নাম উল্লেখ ছিল। তবে সেই ঘটনাতেও পুলিস কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন বলে অভিযোগ শ্রীকুমারের কাকা-কাকিমার। ওই এলাকারই আরেক বাসিন্দা বলেন, 'বাবা ও ছেলের মৃত্যুর পর শুনেছিলাম, অয়ন চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে বহু টাকা আত্মসাৎ করেছিল। পরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বাবা এবং ছেলে।' একই অভিযোগ করেন অয়নের একসময়ের সঙ্গী পূর্ণেন্দুও। 

সোমবার অয়নের গ্রেফতারির পর ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু প্রভাবশালীদের ব্যাঙ্কে সরাসরি টাকা পাঠাতো অয়ন। ম্যারাথন জেরার পর কোন কোন প্রভাবশালীদের টাকা পাঠাতেন, তাদের পরিচয় কী? সমস্ত কিছু ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছেন বলে খবর ইডি সূত্রে।


one year ago
AYAN: ঘুঘুর বাসা অফিস! ৩৭ ঘন্টা তল্লাশির পর ইডির হাতে গ্রেফতার শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন

দীর্ঘ ৩৭ ঘন্টা তল্লাশির পর গ্রেফতার শান্তনু (SHANTANU) ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল (AYAN Seal)। আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর, তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তুলবে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা (Ed) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতেই, একে একে সামনে এসেছে রথী-মহারথীদের নাম। ইডির হেফাজতের আছে অনেকে, এবার অয়নকে হেফাজতে নিলো ইডি। শনিবার শান্তনু যোগ পেয়ে, শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়িতে হানা দেয় ইডির একটি দল। শনিবার দুপুরের পর থেকেই অয়নের বাড়িতে, সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি শুরু হয়। তল্লাশি করে প্রায় ৪০০ ওএমআর সিট-সহ প্রার্থীদের তালিকা, অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার করে ইডি। সেই সঙ্গেই তাঁকে জেরা করতে থাকে ইডির আরও একটি দল।

শনিবারের পাশাপাশি গোটা রবিবারজুড়ে চলে অয়নের বাড়ি, ফ্ল্যাট, অফিসে তল্লাশি। তল্লাশি চলাকালীন রবিবারই ইডির তরফে জানানো জন্য হয় যে, অয়নের সল্টলেকের অফিসই ছিল কুন্তলের কন্ট্রোল রুম। রবিবার তল্লাশির পর ইডির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে প্রায় ৫০-৬০ কোটি টাকার লেনদেনের  হিসেব খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছিল যে, ওই টাকার যে তালিকা সেই তালিকা টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকা খুঁজে পেয়েছে ইডি। সেগুলোকেই পরীক্ষা করে দেখছেন বলে জানিয়েছিল ইডির আধিকারিকেরা। দীর্ঘ ৩৭ ঘন্টা চলে তল্লাশি।

এরপরে সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অয়ন শীলকে। অয়নের সঙ্গে বিভিন্ন পুরসভার চেয়ারম্যানের যোগাযোগের কথা আগেই প্রকাশ করেছিল সিএন। সেই সঙ্গে রবিবার তল্লাশি চলাকালীন ইডির তরফে জানানো হয় শুধু শিক্ষা দফতরে নয়, বিভিন্ন পুরসভা-সহ আরও বেআইনি নিয়োগে যুক্ত ছিল অয়ন ও শান্তনু। গোটা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েছিল তাঁদের এজেন্ট।  সেই এজেন্টদের তথ্য ইডির হাতে এসেছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। সে সমস্ত নথি ও তথ্য খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর।

one year ago


Ayan: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বহু পুরসভার চেয়ারম্যানের, তবে কি ইডির ডাক পাবেন তাঁরাও?

শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের (Ayan) সল্টলেকের অফিস থেকে উদ্ধার ৪০০ ওএমআর শিট (OMR Sheet)। উদ্ধার প্রার্থীর তালিকা সহ অ্যাডমিট কার্ড ও নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। অয়নের অফিস হাতড়ে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে। যা আগামী দিনে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়ায় গতি আনতে পারে বলে সূত্রের খবর।

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকায় নাম জড়িয়েছে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের। ইডির তল্লাশিতে জানা গিয়েছে, শান্তনুর যাবতীয় তথ্য সরিয়ে রাখা হয়েছিল অয়নের অফিসে। পাশাপাশি ইডির তল্লাশিতে আর উঠে এসেছে, চাকরির প্রস্তুতির প্রতিষ্ঠান খুলে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হত বিভিন্ন পুরসভা গুলিতেও। অর্থাৎ শুধু শিক্ষা নয় এবার চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠল পুরসভার চাকরিতেও। অভিযোগের তীর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের দিকে।

শনিবার দিনভর শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়নের অফিস ও প্রতিষ্ঠানের নথি যাচাই করে এই তথ্য জানতে পারে ইডি। ইডি সূত্রে দাবি, 'একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান-এর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন অয়ন। একটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি।' শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়োগ দুর্নীতির বাইরে পুরসভার নিয়োগে কি এবার দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন চিহ্ন। কারণ একাধিক চাকরির নোটিফিকেশন এবং প্রার্থী তালিকা পাওয়া গিয়েছে অয়নের হার্ডডিক্সে।

শনিবার ইডি অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ সহ কিছু ইলেকট্রনিক্স গেজেটে পাসওয়ার্ড থাকার দরুন সেগুলি ব্যাবহার করতে পারছিলেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ অয়ন শীলকে তাঁর সল্টলেকের অফিসে আনা হলে আধিকারিকরা সেই ইলেকট্রনিক্স গেজেটের পাসওয়ার্ড জানতে পারে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেখান থেকে ব্যাঙ্কের নথি এবং কিছু লেনদেনের তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই লেনদেন গুলি কবে করা হয়েছিল এবং অয়ন শীল কাদের মাধ্যমে ওই লেনদেন করেছিলেন তা নজরে রয়েছে ইডি আধিকারিকদের। এছাড়া জেরার পর ইডি সূত্রের দাবি, শান্তনু-কুন্তলের মিডল ম্যানরা ছড়িয়ে পড়েছিল বাঁকুড়া-পুরুলিয়া সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়। এ যাবতীয় সমস্ত নথি অয়নের অফিস হাতড়ে খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি ইডির।

one year ago
Death: বার ডান্সারের রহস্যমৃত্যু, লিভ ইন পার্টনারকে আটক করল পুলিস

রাজারহাট রোডের অভিজাত আবাসন থেকে ভিন রাজ্যের যুবতী বার ডান্সারের (Bar Dancer) ঝুলন্ত দেহ (Hanging Body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনায় যুবতীর লিভ ইন পার্টনার আটক করেছে নারায়ণপুর থানার পুলিস (Police)।

পুলিস সূত্র মারফত খবর, রাজারহাট রোডের বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে পঞ্জাব জলন্ধরের বাসিন্দা বার ডান্সার যুবতী স্বেতা রানি(৩০)-র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় যুবতীর লিভ ইন পার্টনার মহেশ জয়সওয়ালকে আটক করেছে নারায়ণপুর থানার পুলিস। শনিবার রাতে মহেশ স্বেতাকে নিয়ে বাগুইহাটি ভিআইপি রোডের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে সে জানান, যুবতীকে সে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। চিকিৎসকেরা যুবতীকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই সুযোগ বুঝে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মহেশ। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাগুইআটি থানায় খবর দিলে পুলিস এসে ওই যুবককে আটক করে।

পরবর্তী সময় বাগুইআটি থানার পুলিস ওই যুবককে নারায়ণপুর থানার হাতে তুলে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পেরেছে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে লিভ ইনে থাকতেন মহেশ ও স্বেতা। মেয়েটির ওপরে সন্দেহের বশে সকাল থেকেই বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়েছিল। সাড়ে তিনটে নাগাদ যুবতী নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে নেন। এরপরই ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বলে জানান মহেশ।

সূত্রের খবর, যুবতীর ঠোঁট ফাটা, হাতের তালুতে মিলেছে রক্তের দাগ। তা ঘিরে বাড়ছে রহস্য। পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ। ইতিমধ্যেই পঞ্জাবে যুবতীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।

one year ago
Mumbai: টয়লেট ব্যবহারের পর পে না করার অভিযোগ, শৌচালয় কর্মীর মারে নিহত যুবক

সুলভ শৌচালয়ে টাকা দেওয়া নিয়ে শুরু ঝামেলা। তার জেরে খুন (Murder) হতে হল প্রস্রাব করতে আসা এক যুবককে। খুনের অভিযোগ উঠল শৌচালয় ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বুধবার গভীর রাতে মুম্বইয়ের (Mumbai) দাদর এলাকার। পুলিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে বিশ্বজিৎ নামে ওই অভিযুক্ত শৌচালয় ম্যানেজারকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম রাহুল পওয়ার। এই ঘটনার পিছনে সঠিক কী কারণ তা তদন্ত করছে মুম্বই পুলিস।

জানা গিয়েছে, দাদর বাসস্ট্যান্ডের সামনে এক সুলভ শৌচালয়ের এই ঘটনা। ঘটনার দিন গভীর রাতে রাহুল প্রস্রাব করতে যান। সেসময় বিশ্বজিৎ সেখানকার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। প্রস্রাব করে টাকা না দিয়ে বেরিয়ে যেতে চান ওই যুবক। তখন বিশ্বজিৎ তাঁকে আটকে, টাকা মিটিয়ে যেতে বলেন। দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়।

অভিযুক্ত বিশ্বজিতের দাবি, 'রাহুল বিতণ্ডা চলাকালীন হঠাৎ পকেট থেকে ছুরি বের করে আঘাতের হুমকি দেন। এরপর আক্রমণের চেষ্টাও করেন। তখন তিনিও প্রাণ বাঁচাতে একটি কাঠের রড দিয়ে রাহুলের মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের।'

উল্লেখ্য, গোটা ঘটনায় কার ভূমিকা অপরাধযোগ্য, তদন্ত করে দেখছে মাটুঙ্গা থানার পুলিস।

one year ago


Udayan: 'চাকরির নামে যারা টাকা নিয়েছে, তাঁদের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসুন', উদয়ন গুহর মন্তব্যে শোরগোল

চাকরি দেওয়ার নামে, ঘর দেওয়ার নামে যারা টাকা দিয়েছিলেন, আমি তাঁদের বকাবকি করি, প্রশ্ন করি কেন দিয়েছিলেন? যাদের টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের কী ক্ষমতা আছে চাকরি দেওয়ার? এভাবেই রাজ্যের সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Uadayan Guha)। তাঁর (Bengal Minister) মন্তব্য, 'আপনি যদি টাকা ফেরত চান, ওই লোকটার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসুন। আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। কেউ যদি চাকরির নাম করে অথবা সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা চায় তাহলে ফোন করে আমায় জানাবেন, তার জেল খাটানোর ব্যবস্থা আমরা করব।'

দিনহাটার খেরবাড়ি হাটে একটি পথসভায় এভাবেই বার্তা পাঠান উদয়ন গুহ। উদয়ন গুহ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, 'উদয়ন গুহ কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত অথবা চাকরি দেওয়ার নাম করে কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। গোটা দিনহাটা জুড়ে কোনও একটা লোক এই ধরনের কথা বলছে খুঁজে পাবেন না।'

স্বাভাবিকভাবে মন্ত্রীর এই বক্তব্যে শোরগোল পড়েছে কোচবিহারে। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে এই ধরনের কিছু মন্তব্য করছেন। দিন কয়েক আগে এদিন তিনি স্পষ্ট করেছেন, উত্তরবঙ্গ কিছুতেই ভাগ হবে না। বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। যদিও বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়ের অভিযোগ, 'এটা টাকা তোলার নতুন পদ্ধতি। এই টাকা তোলার সঙ্গে উদয়ন গুহ নিজেই জড়িত। টাকা না দিলে তৃণমূলে টিকিট পাওয়া যায় না, এটা প্রতিষ্ঠিত।'

one year ago
Haridevpur: অয়ন হত্যায় ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পুলিসের হাতে, কী উল্লেখ পিএম রিপোর্টে?

হরিদেবপুরে (Haridevpur Murder) অয়ন মণ্ডল হত্যাকাণ্ডে ডায়মন্ডহারবার হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের (Post Mortem) প্রাথমিক রিপোর্ট হরিদেবপুর থানার কাছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ ভারী ও ভোঁতা বস্তুর  আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু অয়নের। রিপোর্টে উল্লেখ ময়না তদন্ত হওয়ার ৩০ ঘণ্টা আগেই মৃত্যু হয়েছে অয়নের (Ayan Mondal)। এদিকে এই ঘটনায় পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতকে অয়নের মৃতদেহ লোপাটের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। মাগুর পুকুরের কাটাখালের নির্জন স্থানে ছোট হাতি গাড়ি করে অয়নের দেহ আনা হয়েছিল।

এই গাড়িটি কবরডাঙ্গা থেকে নেপালগঞ্জ হয়ে উচ্ছেখালির মোড় থেকে মাগুর পুকুরে এসেছিল। তারা যে সময়টা বেছেছিল, সেটা ঠিক ভোরের সময় কারণ। উচ্ছেখালি এলাকায় মধ্যরাত পর্যন্ত ঠাকুর বিসর্জন চলছিল। সেই ভাসান দেখতে সাধারণ মানুষের যেমন ভিড় ছিল, তেমনি পুলিস প্রশাসন সজাগ ও সতর্ক ছিল।

ফলে তাঁদের চোখ এড়িয়ে মাগুর পুকুরের নির্জন স্থানে প্রমাণ লোপাটের কারণে ঝোপের মধ্যে রেখে দিয়ে তারা আবার নেপালগঞ্জ দিয়ে কবরডাঙ্গার দিকে এগোয়। যেটা পুলিস সূত্রে খবর, যে অয়নের মোবাইল তারা নেপালগঞ্জের দিকে ফেলেছিল। সেই সূত্রে একটা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ক্যালকাটা নিউজের হাতে এসেছে, যেখানে শুনশান রাস্তায় একটা ছোট হাটি গাড়ি ধরা পড়েছে। যদিও সেই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেন সিএন নিউজ।

2 years ago


Haridevpur: অয়ন হত্যাকাণ্ডে খুনের ছক কষে বান্ধবীর মা, বাবা দেহ লোপাটের ছক?

অয়ন হত্যাকাণ্ডে (Ayan Mondal Murder Case) উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, দশমীর দিন রাতে প্রীতি অন্য বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যায়। রাত সাড়ে দশটায় অয়নকে ফোন করে প্রীতি। বাড়িতে রাত ১১ টা নাগাদ অয়নকে আসতে বলা হয়, দাবি প্রীতির।

পুলিসি জেরায় প্রীতি আরও জানিয়েছে, অয়ন মদ্যপ অবস্থায় রাত ১১ টায় তাদের বাড়িতে আসে। অয়ন বাড়ি এসে দেখতে পায় প্রীতি বাড়িতে নেই। এরপর অয়নের সঙ্গে প্রীতির মায়ের বচসা শুরু হয়। ঠিক সেই সময়ই বাড়িতে আসে প্রীতি। প্রীতি বাড়ি ফিরলে অয়নের সঙ্গে তারও বচসা শুরু হয়। সেই সময় বাড়িতে আসে প্রীতির ভাই। এসে দেখতে পায় প্রীতিকে মারধর করছে অয়ন। ইঁট, বাঁশ ও রড দিয়ে মারা হয়। এরপর তাঁর ভাই ও বাবা চড়াও হয় অয়নের উপর।

তবে পুলিসের (police) প্রাথমিক অনুমান, প্রীতির মায়ের প্ররোচনায় খুনের (murder) ঘটনা। প্রীতির মা মূলত ছক কষে ছিল এই খুনের এবং বাবা দেহ (body) লোপাটের চেষ্টা করে। আর এই কাজে ব্যবহার করা হয় প্রীতির ভাই ও তার দুই বন্ধুকে। সেদিন ম্যাটাডোর এলে কুঁদঘাট থেকে নেপালগঞ্জ হয়ে মগরাহাটের মগরাহাটে পুকুরে দেহ নিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তবে ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের হরিদেবপুর থানা থেকে বের করে আলিপুর কোর্টের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয় শনিবার।

পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার ভোর বেলায় হরিদেবপুর থানার পুলিস অভিযুক্ত প্রীতি জানার ভাইকে নিয়ে বাড়িতে যায়। পুনঃনির্মাণ করা হয় সেদিনের ঘটনা। তারপরে হরিদেবপুর থানার পুলিস তার ভাইকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের যায়, যেখানে দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেখানে গিয়েও তদন্ত করা হয়।

2 years ago
Murder: অয়ন হত্যাকাণ্ডে উড়িশা থেকে গ্রেফতার বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু

ক্রমশই ঘণীভূত হচ্ছে হরিদেবপুরে (Haridevpur) অয়ন মণ্ডল (Ayan Mondal) খুনের রহস্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিস (police) সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল- দীপক জানা (বাবা), রুমা জানা (মা), প্রীতি জানা (বান্ধবী), বিবেক জানা (বান্ধবীর নাবাল ভাই), রাহুল রায় (ভাইয়ের বন্ধু), সুজিত রায় (মেটোডোর ডাইভার), দীপজ্যোতি সাহু (ভাইয়ের বন্ধু)। ধৃতদের উড়িশা থেকে গ্রেফতার (arrest) করে নিয়ে আসা হয় হরিদেবপুর থানায়।

খুনের (murder) ঘটনায় বান্ধবী, মা, বাবা, ভাই এদেরকে শুক্রবার দুপুর বেলা বাড়ি থেকে হরিদেবপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল জিজ্ঞাসা করার জন্য। এরপরই তাদের গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তিতে উড়িশা থেকে অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের এই বন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে পুলিস।

প্রসঙ্গত, নিহত যুবক অয়নের হত্যার চক্রান্তে অভিযুক্ত প্রেমিকার ভাই ও ড্রাইভারকে শনিবার হরিদেবপুর স্পেশাল পুলিস টিম ও মগরাহাট থানার পুলিসের সহায়তায় যে জায়গায় অয়নের দেহ পড়েছিল, তার শনাক্ত করতে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় দুজনকে নিয়ে এসে। পাশাপাশি মগরাহাট ও হরিদেবপুর পুলিস কোথায় মারা হয়, কীভাবে মারা হয়, কারা ছিল ঘটনাস্থলে, কীভাবে রাখা হয় অয়নের দেহ, কোন দিক দিয়ে আসা হয়েছিল, এই সমস্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

2 years ago
Udayan Guha: 'সাধু পুরুষ সেজে বসে থাকে, বিজেপি নেতাদের মছলি বাবা বলে কটাক্ষ উদয়নের

ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) এসে তিনি বিজেপির (bjp) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তবে তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষীতে পালটা তোপ দেগেছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতিও।

মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির দুটি সরকারি কলেজের নতুন ভবন উদ্বোনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন উদয়ন গুহ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এদের (বিজেপি নেতাদের) W দিয়ে শেষ হয়, আর W দিয়েই শুরু হয়। কোনও কিছুই বাদ রাখেনা। এরা সব পাচারের সঙ্গেই যুক্ত।" উদয়ন আরও বলেন, "নিজেরা এক একজন সাধু পুরুষ সেজে থাকেন। কিন্তু এরা আসলে জয়বাবা ফেলুনাথের মছলি বাবার মতো ভন্ড সাধু। এদের সঙ্গীরা কেউ ইয়াবা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। কারও গাড়ি থেকে আবার অস্ত্র পাওয়া যায়।"

তবে W বলতে ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন তা এদিন খোলসা করেননি উদয়নবাবু। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে তিনি W অর্থাত্ উইমেন বা মহিলা বোঝাতে চেয়েছেন।

এদিকে এই মন্ত্যবের জবাব দিতে দেরি করেনি জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি নেতৃত্বও। বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী এই নিয়ে বলেন, "উদয়নবাবু সরাসরি বলুক না বিজেপি নেতারা কী পাচার করে।" তাঁর আরও কটাক্ষ, "ফরওয়ার্ড ব্লকে থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে "ম" দিয়ে যতরকম গালি আছে সব দিয়েছেন উদয়নবাবু। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় "মা" হয়ে গিয়েছেন।"

2 years ago


Bankura: 'দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য নয়', মন্ত্রীর বেফাঁস কথায় প্রতিক্রিয়া এড়ালেন সায়ন্তিকা

রাজ্যের মন্ত্রী (Bengal Minister) শ্রীকান্ত মাহাতোর করা মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে গেলেন তৃণমূল যুবনেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতোর বেফাঁস মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তত্পর হয়েছে দল। শোকজ করা হয়েছে পার্টির এই একনিষ্ঠ কর্মী তথা শালবনীর বিধায়ককে। যদিও ভাইরাল সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটালে। তবে এই প্রসঙ্গে শাসক দলকে তোপ দেগেছে বিরোধী শিবিরও।

কিন্তু প্রতিক্রিয়া জানালেন না তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিক্রিয়ায় শুধু বলেছেন, 'দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনওরকম মন্তব্য করব না।'

ঠিক কী বললেন অভিনেত্রী? 

এদিকে, সবজায়গায় সব কথা বলতে নেই। এই সহজ কথাটা বুঝতে পারেননি বলেই শোকজ করা হল পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক (TMC MLA) শ্রীকান্ত মাহাতোকে। অভিযোগ একটাই দলবিরোধী মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার দলের কর্মীদের নিয়ে শালবনিতে এক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন শ্রীকান্ত মাহাতো। সেই বৈঠকেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রীকে। তিনি বলেছেন, 'সায়নী, সায়ন্তিকা, নুসরত (Nusrat), মিমি, যারা পার্টিকে লুটেপুটে খাচ্ছে, তাঁরাই পার্টির সম্পদ। এভাবে আর পার্টি করা যাবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), সুব্রত বক্সি এঁদের কাছে বলতে গিয়েছিলাম। এঁরা বুঝতে চায়নি। খারাপ লোককে তাঁরা ভালো লোক বলছে।' রাজ্যের মন্ত্রীর এই বিস্ফোরক ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে অন্তর্জালে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ক্যালকাটা নিউজ বা ক্যালকাটা নিউজ ডিজিটাল। মন্ত্রী মশাই কী বলেছেন সেই ভিডিওতে?

মোদ্দাকথাটা হল দলে নবাগত নেতা-কর্মীরা অনেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য প্রশাসনের ঘাটে ডিঙি ভিরিয়েছেন। আর এদের যাবতীয় দুষ্কর্মকে সমর্থন করছেন দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল নাগরিক সমিতির নামে নয়া মঞ্চ তৈরির বার্তা দিলেন মন্ত্রী মশাই।

2 years ago
Udayan Guha: 'উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত নয়', পৃথক রাজ্য প্রসঙ্গে বিজেপিকে খোঁচা উদয়ন গুহর

মন্ত্রী হয়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) ফিরে আলাদা রাজ্য নিয়ে বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। মঙ্গলবার মন্ত্রী হয়ে পদাতিক এক্সপ্রেসে চেপে নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক (TMC Leader)। 

এদিন নিউ কোচবিহার স্টেশনে তাঁকে সম্বর্ধনা জানাতে প্রচুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-নেতাদের ভিড় হয়। সেই সম্বর্ধনা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, '২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে বহুবার উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন। এখানে উত্তরবঙ্গে বহু কাজ হয়েছে এবং হবে। উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত, আগামীদিনে এই কথা কারও মুখে আসবে না। এই কথা বলে যারা উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি করে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করে সমাজ থেকে আলাদা করে দিতে হবে।'

তিনি জানান, রাতারাতি সব হবে না। সবার সঙ্গে কথা বলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি আগে করতে হবে। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এই মঞ্চ থেকে উদয়ন গুহ বলেন, 'কেউ দাদা ধরে পঞ্চায়েত টিকিট পাবে না। জোর করে কেউ পঞ্চায়েত প্রধান হবে না।' 

এই মঞ্চ থেকে এদিন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, 'দলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই।' বুথে কর্মীদের এক হওয়ার বার্তা দেন তিনি। পাশপাশি তিনি বলেন, 'বর্তমান রাজ্যে ইডি-সিবিআই বলে একটা প্যানিক চলছে। তাই যারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী, তাদের ইডি সিবিআই মামলায় এক থেকে দেড় বছর জেল খাটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।'

তবে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুর চড়িয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা সুকুমার রায়ও। কী বললেন তিনি? 

2 years ago