
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) এবার বিপাকে ধৃত অয়ন শীল (Ayan Shil)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির (ED) খপ্পরে আগেই পড়েছিল অয়ন শীল। ওই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই রায় নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। বিচারপতি অমৃত সেনার এজলাসে রাজ্যের এই আর্জি কোন কাজেই এলোনা বরং এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে যোগ হলো ইডি।
পুর নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তা সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে ফের হাইকোর্টে আসে। কিন্তু মামলার বেঞ্চ বদল হয়। মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। শুক্রবার তিনিও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রেখেছেন। আবার এদিনই আদালতে দাঁড়িয়ে ইডি দাবি করল, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে একা অয়ন শীলই (Ayan Sil) তুলেছিলেন ৪০ কোটি টাকা।
এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই তদন্ত বহাল রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, রাজ্য সরকারের উচিত দফতরগুলিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এই তদন্তে সহযোগিতা করা। অয়ন শীলের মতো আরও যাঁরা যুক্ত তাঁদের খুঁজে বার করতে যেন সিবিআই দ্রুত পদক্ষেপ করে সে কথাও বলেছেন বিচারপতি।
ইডির বক্তব্য, রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থা বলেছে, যে কায়দায় অয়ন শীলের সংস্থা ওএমআর শিট বিকৃত করে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিল তাতে সরকারি অফিসারদেরও যোগ থাকার সম্ভাবনা প্রবল। এসবের মধ্যেই আবার জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের ছেলের বান্ধবীর বাবা পুর দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তা ছিলেন। ইতিমধ্যে অয়নের স্ত্রী, ছেলে, বান্ধবীকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
শুধু তাই নয়। ইডি এদিন আরও বলেছে, শুধু পুরসভা নয়। জেলা পরিষদে নিয়োগেও কলকাঠি নেড়েছিল অয়নের সংস্থা। তবে এর শুরু বাম জমানায়। ২০০৯ সালে হুগলি জেলা পরিষদে নিয়োগের দায়িত্বে ছিল অয়ন শীলের সংস্থা। সেই সময়ে হুগলি জেলা পরিষদের সভাপতি ছিলেন অসিত পাত্র।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তা খারিজ হয়ে গিয়েছে এদিন। যা রাজ্য সরকারের কাছে ধাক্কা হিসাবেই দেখছেন অনেকে।