মাকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ ছেলের। অভিযুক্তর এহেন আচরণে তাজ্জব পুলিসকর্মীরা। নারায়ণপুর থানা এলাকার পূর্বাচলের এই ঘটনায় সকাল থেকেই চাঞ্চল্য। জানা গিয়েছে, মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ছেলে থানায় গিয়ে দোষ স্বীকার করেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেন পুলিসের কাছে। পুলিস সূত্রের খবর, ৩০ বছর বয়সী সোমনাথ সাঁতরা ও তাঁর মা লক্ষ্মী সাঁতরা। নারায়ণপুরের পূর্বাচল ২১ নম্বর লেনে থাকতো মা-ছেলে।
জানা গিয়েছে, কয়েক মাস যাবৎ ছেলে সোমনাথের কাজ চলে গিয়েছে। এরপর তাঁর স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। এই মুহূর্তে সেভাবে কোনও কাজকর্ম করতেন না সোমনাথ। যার ফলে আর্থিক অনটনে চলছিল পরিবার। এমনকি সোমনাথ সাঁতরা বিবাহিত হলেও স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন।
এসব কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সোমনাথ। সোমবার রাতে মায়ের সঙ্গে বিবাদ হয় সোমনাথের। অভিযোগ এরপর মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সোমনাথ। তারপর নিজেই নারায়ণপুর থানায় গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আত্মসমর্পণ করেন। সোমনাথের কথা শোনার পর, পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে লক্ষ্মী সাঁতরার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে এই হত্যার পিছনে মানসিক অবসাদ না আর্থিক অনটন, নাকি অন্য কোন বিষয় তা তদন্ত করে দেখছে নারায়ণপুর থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোকের ছায়া।