
হাসপাতালের বেড থেকে আচমকাই উধাও রোগী। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালিয়েও তাঁর খোঁজ মিলল না। বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, জলজ্যান্ত মানুষটি গেল কোথায়, তাও আবার মাঝ রাতেই?
তবে রবিবার সকালের ঘটনায় হতবাক পরিবার। হাসপাতাল লাগোয়া একটি পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত আমতলায় গ্রামীণ হাসপাতালের এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন রোগীর আত্মীয়স্বজনরা। কেন নজর নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের? প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা।
দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর রবিবার সকাল এগারোটা নাগাদ আমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল লাগোয়া একটি পানাপুকুর থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ ব্যক্তির মৃতদেহ। বিষ্ণুপুর থানার পুলিস ও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেহ শনাক্ত করেন মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। সকালেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তারপর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীর সঙ্গে তাঁর বাড়ির লোকজন ছিল। তারপরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় বিষয়টি জানিয়েছে। অন্যদিকে হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি করা হয় ওই ব্যক্তিকে। এরপর শনিবার রাতে সাড়ে ৪ টে নাগাদ হাসপাতালের বেড থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের উস্থি থানার শেরপুরের ঘটি হারানিয়ার বাসিন্দা গোপাল ঘোষ নামে বছর ৭০-এর ওই ব্যক্তি। এদিনই নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা বিষ্ণুপুর থানার অভিযোগ দায়ের করেন।