প্রধান শিক্ষক নিয়োগে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া মানা হয়নি, এমনই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার শুনানিতে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। জানা গিয়েছে, চলতি বছর দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি স্কুলে নিয়ম না মেনে, কাউন্সেলিং ছাড়াই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠে। বেশ কয়েকজন শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এরপর মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। এদিন ওই মামলার শুনানিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করল জাস্টিস গাঙ্গুলি। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি আছে।
এদিন এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, শুধুমাত্র বয়স এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জেলা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অর্থাৎ DPSC রুলে প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হয়। সবল জবাবে রাজ্যের বক্তব্যের পাল্টা মামলাকারীর দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং হয়নি, বরং অন্যান্য কয়েকটি জেলা অর্থাৎ বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় নিয়ম মেনেই হয়েছে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কাঁটায় বিদ্ধ রাজ্য সরকার অর্থাৎ তৃণমূল। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই হাজতে আছেন তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সহ অন্তত হাফ ডজন নেতা। এরই পাশে বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্য জুড়ে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি রাজ্য সরকারের কাছে গোদের উপর বিষফোঁড়া সেটা বলা চলে।