
ফের অশান্ত রিষড়ায় (Rishra)। সোমবার রাতভর আতঙ্ক (Panic) কাটিয়ে এখনও থমথমে হুগলির (Hoogly) রিষড়া। জারি ১৪৪ ধারা। পুলিসের তরফে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সোমবার রাতে হুগলির রিষড়াতে ক্ষোভ আছড়ে পড়ল রেল লাইনে। অভিযোগ, সোমবার রাতে আচমকাই একদল দুস্কৃতী রিষড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায়। স্টেশনে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি রিষড়ার ৪ নম্বর রেল গেটে অশান্তি হয় বলে খবর। যার জেরে হাওড়া-বর্ধমান শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। যার ফলে ওই লাইনে হাজার হাজার যাত্রী অসুবিধায় পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল।
সোমবার রাত ১০টা থেকে রিষড়া স্টেশনে অশান্তির কারণে, যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে রিষড়া স্টেশন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় একটি আপ ব্যান্ডেল লোকালকে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাত ১টার পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিষেবা। রাত ১০টা নাগাদ হাওড়ায় ঘোষণা করা হয় বর্ধমান শাখায় আপাতত ট্রেন চলবে না। বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলও করে দেওয়া হয়। ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় এবং রেলের তরফ থেকেও কোনও স্পষ্ট উত্তর না পেয়ে হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীদের একাংশ।
সম্প্রতি রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে দুষ্কৃতীদের। তাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী। হাওড়ার পর এবার হুগলি। হুগলির রিষড়াতে দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিশাল পুলিস বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
এ ঘটনায় বারবার প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকায়। প্রশ্ন উঠছে ১৪৪ থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা বারবার কি করে ঘটছে? বিজেপির তরফে পুলিসি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে বরাবর। প্রসঙ্গত, হাওড়ার পর হুগলির ঘটনায় বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন জমা করা হয়েছে। এছাড়া আরও খবর, পুলিসের বিরুদ্ধে একতরফা আচরনের অভিযোগে, মঙ্গলবার থেকে হুগলির রিষড়ায় ধরণায় বসার কথা ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। অভিযোগ মঙ্গলবার সকালে ধরনার আগেই সেই মঞ্চ খুলে দেয় পুলিস।