গরু পাচারে(Cow Smuggling) মদত রয়েছে স্থানীয়দের। এই খবরের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে আহত ৮ জন পুলিস। আহতদের মধ্যে থানার এসআই (SI), তিনজন কনস্টেবল এবং চারজন মহিলা কনস্টেবল রয়েছেন। ফাঁসিদেওয়া থানার এই ঘটনায় আহত পুলিসকর্মীদের উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি পুলিসের উপর হামলার ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতারও করা হয়। ইতিমধ্যেই সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া(Phansidewa Police) থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার করার জন্যই বেশ কিছু বাংলাদেশি রাতের অন্ধকারে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। সেই সময় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিসের হাতে ধরা পড়ে ওরা। সেদিন তাঁদের গ্রেফতার করে পরের দিন আদালতে পাঠানো হয়। পুলিসি তদন্তের জন্য বেশ কিছুদিনের জন্য হেফাজতেও নেওয়া হয় ধৃতদের। অবশেষে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে এই গরু পাচার কাণ্ডে। ধৃতরা জানায়, ফাঁসিদেওয়ার কালু জোত ও ধনিয়া মোড় এলাকার বেশ কিছু পরিবার রয়েছে, যারা এই গরু পাচারের সঙ্গে সরাসরিভাবে যুক্ত। তাই শুক্রবার রাতে পুলিস সেই সমস্ত বাড়িতে হানা দেয়। পুলিসকে দেখে বাড়ির লোকেরা লাঠি, পাথর, রড নিয়ে পুলিসের উপরে আক্রমণ করেন। ফলে ফাঁসিদেওয়া থানার কর্মরত এসআই মোহাম্মদ ওয়াসিম সহ বেশ কয়েকজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
এই ঘটনার জেরে তড়িঘড়ি খবর যায় থানায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিসবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং আহত এসআই-সহ সাত জন কনস্টেবলকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস।