বিজেপি (BJP) প্রার্থী হিসেবে লোকসভার টিকিট পাওয়া এক চিকিত্সকের (Doctor Death) অস্বাভাবিক মৃত্যু। হাত পা বাঁধা অবস্থায় লজের একটি ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকে চিকিত্সকের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটিতে। ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে নলহাটি থানার পুলিস (Police)। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিকও। মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।
জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসকের নাম ডাক্তার মদনলাল চৌধুরী। সোমবার নলহাটি চার নম্বর ওয়ার্ডের রেল গেটের কাছে একটি বেসরকারি লজের উপর নিজের ঘর থেকেই হাত পা মুখ বাঁধা অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পুলিস। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ তিনি ওই বেসরকারি লজের ভিতরে ডাক্তারের ঘরে চাবি আনতে গিয়েই তাঁকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। তাঁর দাবি, যখন তিনি ঘরের মধ্যে ঢুকছিলেন তখন ঘরের দরজা ভেজানো অবস্থায় ছিল। ডাক্তারকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে তিনি দৌড়ে নিচে নেমে এসে পাশের একটি দোকানে ঘটনাটি জানান। পরে তাঁরাই পুলিসে খবর দেয়। স্থানীয়দের দাবি, হাত-পা-মুখ বেঁধে রেখে ডাক্তারকে খুন করা হয়েছে, এমনটাই দাবি তাঁদের।
এই ঘটনায় এসডিপিও ধীমান মিত্র জানান, পুলিস আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে দেহটি দেখেছেন। দেহে কিছু রক্তের নমুনা ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। তবে তদন্ত এগোলেই ঘটনাটি পরিস্কার হবে, জানান তিনি। বিজেপি নেতা বিল্পব ওঝা জানিয়েছেন, এই জোনে একজন খুব ভালো নামকরা ডাক্তার ছিলেন তিনি। সর্বোপরি তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে দু'বার এই বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এমনকি এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত নিবিড় যোগাযোগ ছিল। আর এরকম একজন মানুষকে দিনের বেলায় তাঁর নিজের ঘরেই খুন করা হয়েছে। এতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন আগেও উঠেছে আর এখনও উঠছে।