মালতিপুরের দুঃসাহসিক ডাকাতি (robbery) এবং সিভিক (Civic) খুনের ঘটনায় গ্রেফতার (arrest) দুই অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার ধৃত দুইজনকে ১৪ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে চাঁচল থানার পুলিস। এই ঘটনার পরেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ধৃত ওই দুই ব্যক্তিকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মেডিকেল টেস্ট করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের পাহাড়ায় রয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়াররা। আর তারপরে প্রশ্ন উঠেছে কেন এই ধরনের একটি ভয়াবহ ডাকাতি এবং সিভিক খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পাহাড়ায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের রাখা হচ্ছে? কেন পুলিস কনস্টেবল নেই?
পুলিস সূ্ত্রে খবর, ডাকাতিতে বিহার ও ঝাড়খন্ড যোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সীমান্তবর্তী এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় তাদের আটকানো গেল না কেন? স্বর্ণ ব্যবসায়িকাকে লক্ষ্য করে গুলি এবং বোমা বিস্ফোরণ। সেক্ষেত্রে ডাকাত দলের কাছে তো আগ্নেয়াস্ত্র বোমা ছিল। তবে নাকা চেকিংয়ের সময় সেগুলিকে ধরা হলো না কেন?
মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের স্ত্রী বলছেন, তাঁর স্বামীকে ভিলেজ পুলিস ফোন করে বলে ডাকাত ধরার কথা। এই ভিলেজ পুলিস কে? মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে কে বা কারা ফোন করে কি বলেছিল? একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ডিউটি তে না থাকার পরেও তাকে কি অবস্থায় পাঠানো হয়েছিল? প্রশ্ন উঠেছে পুলিস তো জানত এরা ডাকাত। তবে এদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা রয়েছে। সেক্ষেত্রে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার যে ডিউটিতে ছিল না তাঁকে কিভাবে ডাকাত দল ধরতে পাঠালো পুলিস?