তবে কি নড়বড়ে কেষ্টহীন বীরভূম (Birbhum)? শনিবারের পর এই প্রশ্নই উঠছে রাজনৈতিক মহলে। পুলিস (Police) সূত্রের খবর, বীরভূম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরদিনই দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে নানুরের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। রিঙ্কু চৌধুরীকে মারধরের অভিযোগে কাঠগড়ায় খোদ কাজল শেখ (Kajal Seikh)। এমনকি, একই অভিযোগ উঠেছে ব্লক সভাপতি তথা কাজল অনুগামী সুব্রত ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধেও। অভিযোগ মারধর করে দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয় ওই তৃণমূল নেতাকে৷ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বীরভূম তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখ। এভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে মারধর এবং গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠায় স্পষ্টতই কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল। এমনটাই দাবি বিরোধী শিবিরের।
জানা গিয়েছে, দলীয় কার্যালয়ে রিঙ্কু চৌধুরীর সঙ্গে বচসা বাঁধে অন্য কর্মীদের৷ তারপরেই মারধর করা হয় বলে খবর। অভিযোগ, 'তিনি অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী। তাই তাকে দলীয় কার্যালয় থেকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে।' প্রসঙ্গত, কালীঘাটে বীরভূমের নেতাদের নিয়ে বৈঠক চলাকালীন কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখকে কার্যত ধমকের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরেই কি এদিন গোষ্ঠীকোন্দল শুরু নানুরে? বড় প্রশ্ন বিরোধী শিবিরে।