নদীর পাড় ধসে দুর্ঘটনা(Child Labours Died)। ঘটনায় মৃত্যু তিন শিশু শ্রমিকের, আহত এক। রবিবার রাতে বালাসন নদী থেকে অবৈধভাবে বালি পাচার করার সময় নদীর পাড় ধসে দুর্ঘটনার অভিযোগ। মাটিগাড়ার পাথরঘাটা বালাসন নদীর ঘটনা। গ্রামবাসীর উদ্যোগে জেসিবির সাহায্যে ওই তিন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। মৃতদের দেহ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য।
জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দিনের মতো রবিবার রাতে নদীতে শ্রমিকরা বালি ও পাথর তোলার জন্য আসে। বেশ কিছুক্ষণ কাজ করার পর হঠাৎ নদীর পাড় শ্রমিকদের গায়ের উপর ধসে পড়ে। যার ফলে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৩ শ্রমিকের, আহত এক শ্রমিক। অবশেষে জেসিবির মাধ্যমে মাটি খুঁড়ে শ্রমিকদের বের করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, মৃত তিন শ্রমিক নাবালক।
এমনকি স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিস প্রশাসনের মদতেই চলছে এই অবৈধ বালি পাচারের কাজ। রাতের অন্ধকারে বালাসন নদী থেকে শয়ে শয়ে বালি বোঝাই ডাম্পার পাচার করা হয়। আর পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। এমনকি বালি পাচার করা গাড়ির চলকদের থেকে পুলিস টাকা নেয়, অভিযোগ স্থানীয়দের। ওই তিন শিশুর পরিবারের দাবি, যেহেতু প্রশাসনের উদাসীনতার জন্যই এই পাচার কাজের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসুক এবং তাঁদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
তবে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, 'বালি পাচারের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পুলিস টাকা নিয়ে গাড়ি পাস করে তারও কোনও অভিযোগ নেই আমার কাছে। তবে ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তিনজন নাবালক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী সহ আমরা খুবই দুঃখ প্রকাশ করছি।'