শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে কেলেঙ্কারিতে ভরা রাজ্য সরকার। এবার কি সেই কেলেঙ্কারিও রুখতে চান রাজ্যপাল (Governer)! শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) উপাচার্যদের (Vice Chancellor) বৃহস্পতিবার একটি কড়া নির্দেশিকা পাঠালেন। যা শুধু অভিনব নয়, নজিরবিহীনও। যে নির্দেশিকার পর রাজনৈতিক টানাপোড়েন রাজ্যজুড়ে। এই নির্দেশিকা নিয়ে সরব হয়েছে শাসক দলও।
সূত্রের খবর, নির্দেশিকায় মূলত তিনটি কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি কোনও আর্থিক লেনদেন করে তার আগে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। নইলে তা করা যাবে না। দ্বিতীয়ত বলা, প্রতি সপ্তাহের শেষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ই-মেল করে রাজ্যপালকে জানাতে হবে কী কাজ হল। পাশাপাশি জগদীপ ধনকর রাজ্যপাল জমানায় উচ্চশিক্ষা দফতর নিয়ম করেছিল, তাঁদের মাধ্যমে আচার্য-উপাচার্যদের রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অর্থাত্ সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে না। শুক্রবারের নির্দেশিকায় রাজ্যপাল বলেছেন, উপাচার্যরা সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারবেন, তাদের যোগাযোগের জন্য কোনও মাধ্যম লাগবে না। ঠিক একইভাবে রাজ্যপালও আচার্য হিসাবে উপাচার্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন। এছাড়া ওই নির্দেশিকায় লেখা আছে, রাজভবনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিষয় দেখভাল করবেন ও সহযোগিতা করবেন আইএএস দেবাশীষ ঘোষ।
এ নির্দেশিকার পর শিক্ষা মহলের মতে, রাজ্যপাল এদিনের নির্দেশিকায় আগের সেই নিয়মটাই তুলে দিলেন। এতে ফাইল আটকে থাকবে না। দ্রুত কাজ হবে বলে মত রাজ ভবনের। রাজ্যপালের এই নির্দেশিকা নিয়ে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'আমরা দ্বৈরথ চাই না, এই চিঠির বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে, তবে ওনাকে বলব এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নিতে, এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।' এছাড়া তিনি আরও বলেন, 'শিক্ষা দফতরকে অন্ধকারে রেখে রাজভবন এই চিঠি দিয়েছে।' এ প্রসঙ্গে পাল্টা বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, 'রাজ্যপালের এক্তিয়ার আছে, শিক্ষাক্ষেত্র থেকে তো লুটেপুটে খেয়েছে, এবার রাজ্যপাল ও বুঝে যাবে ওরা কীভাবে লুটপাট চালিয়েছে।'