এ যেন এক বিরল ঘটনা! ছাগল মেরে দেহ শুঁড়ে পেঁচিয়ে বনে নিয়ে গেল ক্ষিপ্ত বুনো হাতি (elephant)। প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহর জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যাহত। এবার ফের বুনো হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত জলপাইগুড়ির ডালিমকোট ডিভিশনের চা বাগানের পাকা লাইন শ্রমিক মহল্লা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি বাড়ি। রবিবার সকালে ভোরের আলো ফুটতেই হঠাৎ বিকট চিৎকার শুনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন শ্রমিকরা। দেখেন বিশাল এক হাতি এগিয়ে আসছে শ্রমিক মহল্লার দিকে। সবাই চিৎকার শুরু করেন। হাতি কোনও ভ্রুক্ষেপ না করে হানা দেয় শ্রমিকদের বাড়িতে। এরপর একের পর এক ৭টি বাড়ির ক্ষতি করে হাতিটি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বন কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় স্থানীয় লোকজন ও বনকর্মীরা হাতিটিকে বনে ফেরত পাঠায়। কিন্তু হাতি বনে ফেরত যাওয়ার পথে এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটায়, যা দেখে অবাক হয়ে যান স্থানীয় লোকজন সহ বনকর্মীরা।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার বনে ফিরে যাওয়ার পথে ক্ষিপ্ত বুনো হাতিটি একটি ছাগলকে মেরে দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেয়। দেহের কিছু অংশ ফেলে রাখে, বাকি ছাগলের দেহাংশ নিয়ে বনে চলে যায়। সম্পূর্ণ তৃণভোজী এক প্রাণী এভাবে ছাগল মেরে নিয়ে যাওয়া এর আগে কেউ দেখেননি। হতবাক সকলেই। অন্যদিকে, আচমকা সাঁকরাইল ব্লকের হাঁড়িভাঙ্গা গ্রামে একটি হাতির দল ঠুকে পড়ে। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে সাঁকরাইল ব্লকে প্রবেশ করল হাতির দল। এরপর বেশ কয়েকটি গ্রামে তাণ্ডব চালায় হাতির দল। রবিবার ভোরে হাঁড়িভাঙা জঙ্গলে আশ্রয় নেয় ২০ থেকে ২৫ টি হাতির একটি দল। এখন চাষিরা মাঠ থেকে পাকা ধান বাড়িতে তোলার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এমন সময় হাতির দল এসে মাঠে গিয়ে পাকা ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি করছে। যার ফলে ওই এলাকার চাষিরা চিন্তায় পড়েছেন।
এদিকে, হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কিসমত রামানন্দপুর এলাকায় পথ অবরোধ করে রবিবার সকাল ছয়টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। যার ফলে সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী রগড়া বাস রাস্তায় সমস্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চাষের জমিতে তাণ্ডব চালায় হাতির দলটি, এমনটাই অভিযোগ। বন দফতরকে জানানো সত্ত্বেও ঘটনাস্থলে কেউ না আশায় বন দফতরের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করেন বাসিন্দারা।