বসিরহাটে (Basirhat) গ্যাস লিক কাণ্ডে গ্রেফতার (arrest) এক। উল্লেখ্য, বসিরহাটের মাটিয়া থানার খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর মাংসের প্রসেসিং কারখানায় অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়। শুক্রবারই এই ঘটনায় উঠে আসে বেআইনিভাবে অ্যামোনিয়া গ্যাস (Ammonia gas) রাখার অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই মাটিয়া থানার পুলিস (police) তদন্তে নেমে ওই কারখানার ম্যানেজার ফারুক হাসানকে গ্রেফতার করে। পুলিস অভিযুক্তকে শনিবারই বসিরহাট মহকুমা আদালতে (court) তোলে।
প্রসঙ্গত, গোপালপুর মোড়ে মাংসের ফুড প্রসেসিং কারখানা থেকে হঠাৎই শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক হয়ে বের হয়। দীর্ঘক্ষণ পরও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই গ্যাস নাকে আসলে বেশ কয়েকজন অসুস্থও হয় বলে জানা যায়। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা মাটিয়া থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র ও বিশাল পুলিসবাহিনী। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখেন বিষয়টি। প্রত্যেক পুলিস কর্মী মুখে গামছা-রুমাল পরে তারপরই যান। ঘটনাস্থলে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। ওই কারখানার অ্যামোনিয়া গ্যাস যেখান থেকে লিক হয়, সেখানে জল দিতে শুরু করেন তাঁরা। এরপরই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছয় ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা। আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও এলাকায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে।