গোরুপাচারকাণ্ডে এনামুলের ভাগ্নে পিন্টু শেখের রাইস মিলে দিনভর তল্লাশি চালাল সিআইডি। রাইস মিল থেকে একটি ট্রেলার ট্রাক ও মারুতি সুইফ্ট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া, রাইসমিলের একাধিক কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে মিলটিকে সিল করে দেন সিআইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, গোরুপাচারকাণ্ডে এনামুলকে হেফাজতে নিয়ে সিবিআই সাক্ষী করেছিল তারই ভাগ্নে পিন্টু শেখকে। শুক্রবার সকালে সিআইডির এক ডিএসপি-র নেতৃত্বে তদন্তকারী দলের সদস্যরা বহরমপুর থেকে রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত তালাই মোড়ের কাছে একটি রাইস মিলে গিয়ে পৌঁছন। সারা দুপুর ধরে তল্লাশি চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, 'জেএইচএম' নামক বিশাল ওই চালের মিলটির মালিক ছিলেন এনামুলের তিন ভাগ্নে। জাহাঙ্গির, হুমায়ুন ও মেহেদি হাসানের মালিকানায় চলত এই মিল। তাদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়েই মিলের নাম রাখা হয়। সিআইডি আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হুমায়ূন আসলে পিন্টুর আসল নাম। রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় তার নামে ও বেনামে প্রচুর সম্পত্তি। তবে মালিকানা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে, উৎপাদন শুরুর কয়েক মাসের মধ্যে মিলটি বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। তবে সম্প্রতি ওই মিলে একটি স্কুল তৈরির কাজ চলছিল।
সিআইডি আধিকারিকরা শুক্রবার মিলের ভেতরে থাকা কর্মীদের সঙ্গে প্রায় ২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে কথা বলেন এবং জানতে চান কারা মিলের ভেতরে আসতেন এবং কী ধরনের কাজ মিলের ভিতরে হত। এদিন সন্ধ্যায় সিআইডি আধিকারিকরা নবগ্রাম থানার অন্তর্গত পলসন্ডার কাছে একটি রাইস মিলে হানা দেন। এই মিলটিও এনামুলের ঘনিষ্ঠ গোরুপাচারকারীর মালিকাধীন বলেই জানতে পেরেছেন আধিকারিকরা।