ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া রাজ্যে। স্ত্রীর মৃতদেহর সঙ্গেই বসবাস স্বামীর। শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় পচাগলা মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে আগে বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় স্ত্রী শিখা সেনগুপ্তের। সেই মৃত্যুর খবর কাউকে না জানিয়ে স্ত্রীর দেহ নিয়ে বসেছিলেন বছর ৭৬-এর পঙ্কজ সেনগুপ্ত। এবার ঘটনাস্থল পুরুলিয়ার (Purulia) মুনসেফ ডাঙার কাশীনাথ চক্রবর্তী লেন।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। প্রচন্ড দুর্গন্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁরাই খবর দেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিসকে। কাউন্সিলর ও পুরুলিয়া সদর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে এসে বাড়ির ভিতর ঢুকতেই গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়। দেখা যায়, বাড়ির বাথরুমে পচা-গলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে শিখা দেবীর দেহ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় পুলিস।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পঙ্কজ সেনগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী শিখা সেনগুপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁদের। গত ৭ দিন ধরে শিখা দেবীকে দেখা যাচ্ছিল না। তবে নিয়মিত পঙ্কজ বাবু রোজ খাবার আনতে বাইরে যেতেন। সোমবারও তিনি ঘরের বাইরে বেরিয়ে খাবার আনতে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর খবর একেবারেই জানতে পারেননি প্রতিবেশীরা। স্থানীয়রা আরও জানান, স্ত্রীর মৃতদেহের সামনেই পঙ্কজবাবু স্বাভাবিকভাবে খাওয়া দাওয়া, থাকা সবই করছিলেন।
পঙ্কজবাবু দাবি করেছেন, রবিবার স্ত্রী বাথরুমে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই বিষয় তিনি কাউকে জানাননি। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুরুলিয়া সদর থানা পুলিস।