
কংগ্রেসের (Congress) ভোটে নয়। মাত্র তিন মাস আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদীঘি উপনির্বাচনে তিনি জিতেছিলেন নিজের ক্ষমতায়। মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে বঙ্গ রাজনীতিতে কংগ্রেসকে ফের শূন্য করে সোমবার এই দাবি করলেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। এদিন সুদূর ঘাটালে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর দিকেই অভিযোগর তীর ছুড়লেন। দাবি করলেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতটা সরব অধীর, ঠিক ততটাই চুপ বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে। নিজেকে তৃণমূলের লোক বলে দাবি করে, বাইরন জানিয়েছেন, মানুষের জন্য বটেই। এমনকী তাঁর লড়াই মুর্শিদাবাদে বিজেপির বিরুদ্ধেও।
আগাগোড়া কংগ্রেস পরিবার থেকে বড় হওয়া বাইরনের দাবি, তিনি শুরু থেকেই তৃণমূলে ছিলেন। টিকিট পাননি বলেই মন খারাপ হয়েছিল এবং কংগ্রেসে গিয়েছিলেন। তাঁরা বাবা ছিলেন সাগরদীঘির কংগ্রেস নেতা এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়ের অন্যতম ছায়াসঙ্গী। তাহলে কি তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন? উত্তরে বাইরন জানিয়েছেন, এটা সময় বলবে। কারণ, সাগরদীঘিতে ভোট হলে আবার তিনি জিতবেন। প্রমাণ করে দেবেন, তিনি কংগ্রেসের ভোটে জেতেননি।
গত কয়েকমাস আগে তৃণমূলের দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে উপনির্বাচন জিতেছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়ানো বাইরন বিশ্বাস। সাগরদীঘিতে এই হার ধাক্কা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছিল সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। কারণ, রাজ্যের প্রয়াতমন্ত্রী সুব্রত সাহার তিন বারের জেতা আসনে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছিল তৃণমূল। সেই সাগরদিঘির বিধায়ক তৃণমূলে ফিরতে কার্যত স্বস্তিতে শাসক দল। বাইরনের দাবি, সাগরদিঘির মানুষের জন্য কাজ করতেই তাঁর তৃণমূলে ফিরে আসা।