ভাঙড়ে (Bhangar) ঢুকল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। শনিবার কাশীপুর (Kashipur) থানা এলাকায় তারা রুটমার্চ করেছে বলেই জানা গিয়েছে। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় প্রথম ধাপে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মঞ্জুর করা হয়েছে। তার আগেই অবশ্য ২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোটের মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অঞ্চল। তার জেরেই বিরোধীদের বাহিনী নিয়ে দাবি আরও জোরদার হয়েছিল।
এদিকে রাজ্যে বাহিনীর প্রবেশের সঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বাহিনীকে বসিয়ে রাখা যাবে না। কমিশনের হিসাব বলছে, শুক্রবারই প্রাথমিক ভাবে চাওয়া ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি, বাঁকুড়া, হুগলির মতো জেলায় তাদের রুটমার্চ চলছে। কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সকাল-বিকেল এরিয়া ডমিনেশনের কাজে বাহিনীকে ব্যবহার করতে হবে।
শুক্রবারই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে দুটি দাবি করেছিল বিরোধী বিজেপি। এক, পঞ্চায়েতের গণনার পরেও রাজ্যে বাহিনী রেখে দিতে হবে। আর দুই সরাসরি অভিযোগ জানাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ফোন করা যাবে। দ্বিতীয় বিষয়টি অবশ্য দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর এই দাবি নিয়ে সরকারি ভাবে এখনও কোনও সত্যতা নেই।