সন্দেশখালির তপ্ত ভূমে পা রাখেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। যাত্রাপথে বাধা দেয় পুলিস। চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বকে। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এরই মাঝে উঠে আসে অন্য এক ছবি। পুলিস ফোর্সের পোশাকে মুখে কালো কাপড় বাধা বেশ কয়েকজন। পুলিস পিকেটিংয়ের মাঝে এরা কারা? পুলিসের হাতে এত বড় বড় নখ কেন? প্রশ্ন ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বের।
বাধা পেয়ে আচমকা মীনাক্ষী বলে ওঠেন, “এই তোমার নাম কী? তোমাদের নেমপ্লেট কোথায়?” পরক্ষণেই বলে ওঠেন, “ছবি তোল, পুলিসের পোশাকে তৃণমূল কর্মীরা এসেছেন। এরা পুলিস তো? মুখ ঢাকা কেন?” পাশ থেকে বাম কর্মীরা মহিলা পুলিস কর্মীদের নখ দেখে মন্তব্য করেন। সঙ্গে সঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, “এদের নখ বড় কেন? নেলপলিশ পরে আছে পুলিস কর্মী? এরা কেউ পুলিসের লোক নাকি। এদের নখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে এরা পুলিসের কর্মী নয়। সব তৃণমূল কর্মী।”
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে পুলিসের পোশাকে হামলা করেছিল সিপিএম ক্যাডাররা। পাল্টা ইতিহাস ঘেঁটে কটাক্ষ শাসক নেতা শান্তনু সেনের। অন্যদিকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, কালো কাপড়ে সন্দেহভাজন কারা? তদন্ত করবে না পুলিস। মানবাধিকার কমিশনে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।
পুলিসের মধ্যে মিশছে আততায়ীরা? সত্যিই কি অন্য কেউ তপ্ত করছে সন্দেশখালি? মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের তোলা অভিযোগ কি অন্য অধ্যায়ের সূচনা করবে সন্দেশখালিতে? অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় কি না, সেদিকে নজর থাকবে।