অর্থের অভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে চিকিৎসা করাতে না পেরে বেঁধে রাখতে বাধ্য় হলেন মা-বাবা। ঘটনাটি দুবরাজপুর ব্লকের হালসোত কলোনিপাড়ার। ১৪ বছরের ওই নাবালিকাকে প্রায় ৭-৮ বছর ধরে বাড়িতে থাকা বাঁশের খুটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হত। অভিযোগ, বারংবার গ্রামের প্রধান, মেম্বার এবং বিডিও অফিসে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্য়হীন ওই নাবালিকার জন্মের পর অল্প অল্প কথা বলতে পারলেও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য়হীনতার কারণে দিন-রাত বেঁধে রাখতে হয় তাঁকে। কারণ বেঁধে না রাখলে সে যেখানে সেখানে পালিয়ে যায় বলে পরিবারের দাবি।
অসুস্থ নাবালিকার বাবা কার্তিক বাগদি ভিক্ষা করে কোনওক্রমে সংসার চালান। দিনে আয় বলতে ২-৩ কেজি চাল। আর এভাবে দিন চলে যাচ্ছে। মা শকুন্তলা বাগদি বাড়িতেই থাকেন। তাঁর অসুস্থ মেয়ের জন্য কোথাও কাজে যেতে পারেন না সে। আর্থিক অনটনের কারণে চোখের সামনে মেয়ের অসহায়তা দেখছে তাঁর বাবা-মা।
জানা গিয়েছে, তাঁরা কোনো সরকারি ভাতা কিংবা সাহায্য পাননা। যদি সরকারিভাবে কোনও সাহায্য পাওয়া যায় তাহলে অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে তাঁরা জানান। তবে এই বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে ব্লক আধিকারিক।