সন্দেশখালিকাণ্ডে পরতে পরতে রহস্য। এবার খবরের শিরোনামে শাহজাহানের অফিসের কর্মী দুরন্ত মোল্লার নাম। শাহজাহান মার্কেটে তল্লাশি অভিযানে যেতেই দিদার দুরন্ত মোল্লাকে ডেকে পাঠান ইডি আধিকারিকরা। তাঁর কথায় শাহজাহান মার্কেটের প্রত্যেক দোকানদার কাছ থেকে টাকা তুলে শাহজাহানের অফিসে পৌঁছনোই ছিল দুরন্ত মোল্লা কাজ।
সূত্রের খবর, দিদার দুরন্ত মোল্লা হচ্ছে শাহজাহানের ছায়াসঙ্গী। গত ৫ তারিখ শাহজাহান এই দিদার দুরন্ত মোল্লাকে ফোন করেছিলেন। কল ডিটেইলস খতিয়ে দেখে দিদার দুরন্ত মোল্লা সম্পর্কে জানতে পারেন সিবিআই। সেই কারণে তার বাড়িতে সিবিআই পৌঁছায়। কিন্তু বাড়িতে ছিলেন না তিনি।
শুধু তাই নয়, টাকার হিসাব দিতে হতো শেখ শাহজাহানকে। প্রত্যেক দোকানদারের থেকে প্রতিদিন সংগ্রহ করা টাকার পরিমাণ ৫-১০০টাকা। মাসে ৪৫-৫০ হাজার টাকা তুলে দিতে হতো শেখ শাহজাহানের হাতে। জানিয়েছেন শাহজাহানের অফিসের কর্মী দুরন্ত মোল্লা।
সূত্র বলছে, ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়ির পাশাপাসি অফিসেও অভিযানের পর ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ন্যাজাট থানায় এফআইআর করেন এই দুরন্ত মোল্লা। দিদার দুরন্ত মোল্লার অভিযোগ ছিল, ইডির তল্লাশির পর শাহাজাহানের অফিস থেকে খোয়া যায় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।
ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন দুরন্ত মোল্লা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু যদি মিথ্যে প্রমাণ হয় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেটাই দেখার।