সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের পর এবার সক্রিয় এনআইএ। মানব পাচার চক্রের সন্ধানে বুধবার ভোররাত থেকে একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বারাসত থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বারাসতের ব্যবসায়ী সঞ্জীব দে-কে। আবার ঠাকুরনগর থেকেও ১ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নবপল্লী রমেশ পল্লীর বাসিন্দা সঞ্জীব দে। অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মঙ্গলবার মধ্যে রাতেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় এনআই-এর দুটি টিম। গতকাল রাত থেকে সকাল অবধি তল্লাশি চলে ব্যবসায়ীর বাড়িতে। এনআইএ সূত্রে খবর, তাঁর বাড়ি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে অদূরেই ওই ব্যক্তির অফিস ছিল। অপরদিকে, পাচার চক্রের আড়ালে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী কার্যকলাপের সন্ধানে ঠাকুরনগর আনন্দপাড়া এলাকাতে হানা দেয় গোয়েন্দাদের একটি বিশেষ টিম। ভোর রাত থেকে বুধবার সকাল প্রায় ১১ টা পর্যন্ত অভিযুক্তের বাড়িতে থাকে দলটি৷ একজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তের নাম বিকাশ সরকার৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশ থেকে এসে প্রথমে মধ্যমগ্রামে একটি মোবাইলের দোকান দিয়ে রিপেয়ারিং-এর কাজ করতেন। পরিচিত একজনের মারফত বনগাঁর ঠাকুরনগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
সূত্রের খবর, সীমান্ত পার করে পাচার চক্রের কাজ চালাতেন। এই চক্রের মাধ্যমে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর সীমান্ত পার করে নিয়ে আসা হতো বলে এমনটাই অনুমান গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের। বিকাশ সরকারের স্ত্রী ঝর্ণা সরকার জানিয়েছেন। ৪-৫ মাস আগে তিনি চিকিৎসা করতে ভারতে এসেছেন৷ বর্তমানে তিনি এই বাড়িতেই রয়েছেন স্বামীর সঙ্গে৷ বাংলাদেশের যশোরের বাসিন্দা তাঁরা।
মানব পাচার তদন্তে নেমে এদিন ঠাকুরনগর, বারাসতের পাশাপাশি হাবরা বানিপুর হীরাপোল এলাকায় এক যুবকের বাড়িতে যায় এনআইএ- এর একটি বিশেষ টিম।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর তিনটে নাগাদ চারটে গাড়ি করে এনআইএর একটি দল আসে। সেসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ফিরে যায় আধিকারিকরা। যুবকের নাম কিঙ্কর দাস। যুবক স্থানীয় একটি গেঞ্জির কারখানায় কাজ করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশে রয়েছে পারিবারিক কাজে। এনআইএ সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার কলকাতা এনআইএ অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে কিঙ্করকে।