হনুমানের(Monekey) কামড়ে আহত ১২-১৩ জন গ্রামবাসী। যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। এমনকি হনুমানের আতঙ্কে বন্ধ প্রাথমিক স্কুল ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। দুবরাজপুরের পন্ডিতপুর ও হালসোত গ্রামের ঘটনা। হনুমানের হাত থেকে রেহাই পেতে লাঠি হাতে গ্রামে পাহারা গ্রামবাসীদের। এমনকি গ্রামে রয়েছেন বন দফতরকর্মী(Forest Department) ও দুরাজপুর থানার পুলিস(Police)।
জানা গিয়েছে, গত তিন দিন ধরে হনুমানের আতঙ্কে অতিষ্ট দুবরাজপুরের পন্ডিতপুর ও হালসোত গ্রামের মানুষ। এমনকি হনুমানের কামড়ে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। হনুমানের জ্বালায় হাতে লাঠি নিয়ে ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। তবে গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিসের তরফে শুটার আনা হয়েছে কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি।
হনুমানকে খাঁচায় বন্দি করতে দুবরাজপুর বন দফতরের কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হনুমানের কামড়ে ১২-১৩ জন আহত। যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। দ্রুত হনুমানকে খাঁচাবন্দি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বন দফতর। বর্ধমান রেঞ্জ থেকে আনা হয়েছে শুটারকে।
এই বিষয়ে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় জানান, 'দোল উত্সবের জন্য দু'দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তারপরই শুনি হনুমানের এই উত্পাতে জখম হয়েছে বেশকিছু ছাত্র-ছাত্রী। এমনকি সিউড়ি থেকে বর্ধমান হাসপাতালেও রেফার করা হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীরা আমার কাছে অনুরোধ করে যাতে এদিন স্কুলটা বন্ধ রাখা হয়। স্কুলের তরফ থেকে এসআইকে সমস্যাটি জানানো হয়, তিনি এদিনের জন্য স্কুলটি বন্ধ রাখার অনুমতি দেন।'
তবে দুবরাজপুরের বিডিও রাজা আদক বলেন, 'হনুমানের এই তান্ডবের খবর পেয়ে পুলিস অফিসার-সহ বন দফতর কর্মীদের ওই গ্রামে পাঠানো হয়। হনুমানটিকে দ্রুত আয়ত্বে আনার চেষ্টা করছে তাঁরা।'