প্রায় ছয় মাস ধরে পায়ে গভীর ক্ষত নিয়ে হাসপাতালের (Hospital) বাইরে পড়ে রয়েছেন এক মানসিক ভারসাম্য়হীন (Mentally unbalanced) মহিলা। অভিযোগ, হাসাপাতালে বারংবার নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার, হুগলির চন্দননগর হাসপাতালের সামনে এই অমানবিক দৃশ্য়টি দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে হাসাপাতালের ব্য়বস্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। ইতিমধ্য়ে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলার মায়ের দাবি, বেশ অনেক দিন ধরেই আমার মেয়ে পায়ের আঘাতে ভুগছিল। তারপর তাঁকে হাসাপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করা হলে সেই আঘাত সেরেও গিয়েছিল। কিন্তু সেই পায়ের আঘাত পরে গভীর ক্ষততে পরিণত হয়। অভিযোগ, গভীর ক্ষত নিয়ে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কোনও চিকিৎসা করে না। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি করতে বললে, হাসপাতাল থেকে বলা হয় এলাকার কাউন্সিলর অনুমতি দিলে কিংবা লিখিত দিলে তবেই ওই ভারসাম্য়হীন মহিলাকে ভর্তি অথবা চিকিৎসা করা হবে।
অন্য়দিকে, এই হাসপাতালের পাশেই রয়েছে ক্যানসার হাসপাতাল। তবু হাসপাতালের বাইরে রাস্তার পাশেই একটি ভ্য়ানের উপর ভারসাম্য়হীন ওই মহিলা দিনের পর দিনে পায়ের বিশাল ক্ষত নিয়ে পড়ে রয়েছেন। ধীরে ধীরে পায়ের ওই বিশাল ক্ষত ক্যানসারের আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এদিকে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে ভারসাম্যহীন মহিলার পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় তাঁরা কী করবে ভেবে পাচ্ছে না।