পুরুলিয়া, নদিয়া। একই দিনে ফিল্মি কায়দায় দুই জেলার, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসে ডাকাতির ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বঙ্গ। বন্দুক হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপির সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে এসেছিল। দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীকে বন্দুক তাক করে গুলি করে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর খড়গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায়। ডাকাতির সময়ের রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সবেমাত্র দোকান খুলেছিলেন সোনার দোকানের মালিক আশিস দত্ত। ঠিক সেই সময় চার দুষ্কৃতী ক্রেতার পরিচয়ে জিনিস কেনার বাহানায় দোকানে ঢোকে। যদিও দোকানের কর্মচারীদের সন্দেহও হয়। এরপর শুরু হয় লুঠপাট। যাওয়ার সময় বাধা দিতে গেলেই দোকান মালিকের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। ১ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। বুক ও পেটের মাঝখানে গুলি লাগে ব্যবসায়ীর, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুষ্কৃতীদের ছুরির ঘায়ে আহত হন দোকানের কর্মচারিরাও। সামনে পুজো, তার আগেই যদি এধরনের ঘটনা ঘটে তবে কিভাবে নির্ভয়ে ব্যবসা করবেন ব্যবসায়ীরা? পুলিস প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ব্যবসায়ীমহলের।
গোটা রাজ্যজুড়ে বাড়ছে সোনার দোকানগুলিতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা। বারংবার কেন টার্গেট করা হচ্ছে সোনার দোকানে? তবুও কেন টনক নড়ছে না প্রশাসনের ? ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পাশাপাশি ডাকাতির জন্য ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও সরকার সতর্ক আছে বলে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন কল্যাণী ঘোষ, চেয়ারপার্সন, খড়গপুর পুরসভা।