পুলিসের (Police) গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর (Dead) অভিযোগের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। পুলিস জানিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩)। পুলিসের গুলিতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের দাবি মৃত ওই ব্যক্তি বিজেপি করত।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বুধবার গভীর রাতে বিষ্ণু বর্মন নামে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্যের খোঁজে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিস। বিষ্ণুকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবা ও জামাইবাবুকে মারতে মারতে ভ্যানে তুলছিলেন তাঁরা। অভিযোগ তখনই বিষ্ণুর ভাইপো পুলিসকে বাধা দেন। কেন একজন বৃদ্ধকে মারধর করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন। তখনই পুলিস গুলি ছোড়ে। মৃত্যু হয় মৃত্যুঞ্জয়ের। মৃত্যুঞ্জয়ও বিজেপির সক্রিয় সদস্য বলে দাবি পরিবারের।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় কালিয়াগঞ্জে। বিশাল পুলিসবাহিনীর টহল চলছে গোটা এলাকায়। আদিবাসী নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করে খুনের অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরেই তেতে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ। শুক্রবারের ওই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিজেপি, কামতাপুরী ও আদিবাসীদের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ। গত মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে আদিবাসীদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম বাধে। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি হাতে ধেয়ে যায় পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। তখনকার মতো পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও অচিরেই আবার উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দুপুরের পর কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন লাগানো হয়। প্রাণের ভয়ে একটি বাড়িতে ঢুকে খাটের নীচে লুকিয়ে থাকা পুলিস কর্মীদের টেনে বার করে চলে বেধড়ক মার।
ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে বুধবার গভীর রাতে থেকেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে পুলিস। বিজেপির অভিযোগ পুলিশের উপর হামলার ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই বিজেপির কোনও যোগ নেই। বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী অভিযোগ বলেন, 'নাবালিকা খুনের ঘটনায় বিজেপি পথে নামলেও তা আগাগোড়াই ছিল শান্তিপূর্ণ। তবুও বিজেপি কর্মীদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে সন্ত্রাস চালাচ্ছে পুলিশ। বাইরে থেকে কারা এসে অশান্তি করছে সেই ফুটেজ আমরাও জোগাড় করছি।'