বিয়ের কথা বলায় নাবালিকাকে চোরের অপবাদ দিয়ে মারধর (Beaten) করা হয়। পরে নাবালিকার মাথার চুলও কেটে নেওয়া হয়েছে। এমনকি এই পুরো ঘটনার ভিডিও করে তা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল করার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে (Baruipur)। এই ঘটনার ভিত্তিতে নির্যাতিতা ওই নাবালিকা শুক্রবার বারুইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বারুইপুর থানার পুলিস (Police) অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার মাকে গ্রেফতার (Arrest) করে। শুক্রবারই অভিযুক্তদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। এমনকি আদালতের তরফ থেকে অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই মা ছেলের নাম মিনা বেগম ও শেখ রাজ।
ওই নির্যাতিতা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয় হয় মল্লিকপুরের শেখ রাজের সঙ্গে। তারপর একদিন শেখ রাজ নাবালিকা প্রেমিকাকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেখানে জোর করে তার সাথে ফাঁকা বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। আর এই ঘটনার পরেই নাবালিকা পরিবারের লোকের কাছে সবকিছু জানিয়ে দেয়। নাবালিকার পরিবার সবকিছু জেনে থানায় অভিযোগ জানাবার জন্য উদ্যোগী হলে, প্রেমিক শেখ রাজের পরিবার নাবালিকাকে ঘরের বউ করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে নাবালিকা তার প্রেমিক শেখ রাজের বাড়িতে যাতায়াত করতো। এমনকি একাধিকবার তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও স্থাপন হয়েছে।
নাবালিকার দাবি, কিছুদিন আগে নাবালিকা রাজকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কারণ কিছুদিনের মধ্যেই সে আঠারো বছর পড়বে। তারপর থেকেই প্রেমিকের পরিবার ওই নাবালিকার উপর অত্যাচার করতে থাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাবালিকাকে প্রেমিক তার বাড়িতে ডেকে পাঠায়। তারপরেই তাকে আলমারি থেকে টাকা বার করতে বলে পিছন থেকে ভিডিও রেকর্ডিং করে। তারপরে তাকে চোর অপবাদ দিয়ে ঘরের মধ্যে বেধড়ক মারধর করে প্রেমিক শেখ রাজ ও তার মা মিনা বেগম। তারপরেই সেখান থেকে টানতে টানতে বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবেশীদের সামনে তার মাথার চুল কেটে দেয়। তারপরে শুক্রবার সকালে নাবালিকার মাথার চুল কাটার ভিডিওটি ভাইরাল করে দেয় প্রেমিক শেখ রাজ। আর এই ঘটনার পরেই নাবালিকা ও তার পরিবার থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।