প্রাণের ভয়ে খাটের নীচে লুকিয়ে থাকা পুলিস কর্মীদের (police) টেনে বার করে চলল বেধড়ক মার। ভয়ঙ্কর এই ঘটনার সাক্ষী হল কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj)। কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাঁচতে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন পুলিসকর্মীরা। সেখানে ঢুকে চলল দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব।
ওই বাড়ির বাসিন্দারা জানান, জনতার তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে তাঁদের বাড়ি ঢুকে পড়েছিলেন কয়েকজন পুলিস কর্মী। তাঁরাও আশ্রয় দিয়েছিলেন। খাটের নিচে লুকিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাতারে কাতারে লোক তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সারা ঘরে তাণ্ডব শুরু করে তারা। খাটের নীচ থেকে ওই পুলিস কর্মীদের টেনে বের করে চলে বেপরোয়া মার। বারবার প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানো হলেও কেউ কানে তোলেনি।
এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা। তাণ্ডব চালানোর সময় তাঁদের বাড়িতে ওই দুষ্কৃতীরা লুঠপাট করে বলেও অভিযোগ। টাকা ও ঘরে থাকা বেশ কিছু গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। জখম পুলিসকর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরেই তেতে রয়েছে কালিয়াগঞ্জ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিজেপি, কামতাপুরী ও আদিবাসীদের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ। মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে আদিবাসীদের বিক্ষোভ ঘিরে তুলকালাম বাঁধে। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি হাতে ধেয়ে যায় পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। তখনকার মতো পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও অচিরেই আবার উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দুপুরের পর ফের বিক্ষোভকারীদের জমায়েত হয় থানা চত্বরে। একদল লোক ছুটে এসে থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের জন্য পুলিসও পিছু হটে। খবর পেয়ে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়। পুলিসের উপর এমন নজিরবিহীন হামলার ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে গোটা রাজ্যে। কালিয়াচকের নাবালিকা খুনের কিনারা, পুলিসের দাবি ধর্ষণ করে খুন, মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার।