নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির পাশাপাশি এবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গতি বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী সংস্থার আতস কাঁচের নীচে রয়েছে ১৪ টি পুরসভা। এই পুরসভাগুলিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একাধিক নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। যেগুলো খতিয়ে দেখেই এক এক করে এই পুরসভা গুলোর প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের তলব করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল তদন্তকারী সংস্থা । আর তারপর থেকেই তদন্তকারী সংস্থা দফায় দফায় একাধিক পুরসভাতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই বাজেয়াপ্ত নথি থেকে বেশ কিছু সাংকেতিক অক্ষর মিলেছে। যার রহস্যভেদের পর পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা নথিতে থাকা সি এইচ, এসবি, এম এম, এ সহ একাধিক সাংকেতিক শব্দের রহস্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর এরপরই ইডির নজরে রাজ্যের এক প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রীর নাম। যাঁর হাতে রয়েছে রাজ্যের একাধিক দফতর।
এর আগে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতার নাম সামনে এসেছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও কি উঠে আসতে পারে প্রভাবশালীদের নাম ? এই সাংকেতিক অক্ষরের আড়ালে কোন সংকেত লুকিয়ে রয়েছে, তার রহস্যভেদের চেষ্টা করছেন ইডির আধিকারিকরা।