রমরমিয়ে চলছে মাটি পাচারের (Soil Smuggling) কাজ। এমনকি যাতায়াত করার পথ থেকেও মাটি তুলে নিচ্ছে মাফিয়ারা। নদীর পার হোক বা চাষের জমি মাটি মাফিয়াদের চোখ সব জায়গাতেই। আর মাটি তুলে নেওয়ার ফলে দিন দিন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বহুবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হলেও বন্ধ হচ্ছে না মাটি পাচারের কারবার৷ প্রকাশ্য দিবালোকে চাষের জমি থেকে ট্রাক্টর ভর্তি করে মাটি তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমনকি এলাকাবাসীরা মুখ খুললেই তাঁদের হুমকির মুখেও পড়তে হচ্ছে।
ঠিক এমনই এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেল যশোহরি (Murshidabad) আনুখা ২ নম্বর পঞ্চায়েতের অধীনে মাধুনিয়া সোনাজলের পাড় এলাকায় ধনুপুকুর চত্বরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন আগে ওই জায়গায় ছিল ক্যানেল। তারপর ১০০ দিনের কাজের আওতায় মাটি ফেলে তৈরি করা হয় রাস্তা। বর্তমানে সেই রাস্তার মাটিই ট্রাক্টরে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে মাটি পাচারকারীরা। ফলে রাস্তায় তৈরি হচ্ছে খাদ। যার ফলে যাতায়াতে অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
এই বিষয়ে কান্দি কংগ্রেসের মুখপাত্র নরোত্তম সিংহ জানান, 'এটা তৃণমূলের যুগ। তাই এখন চাকরি চুরি হয়, বালি চুরি হয়, কয়লা নিয়ে কেলেঙ্কারি হয়, নেতাদের খাটের তলা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ও সোনা উদ্ধার হওয়া সহ মাটিও চুরি হয়।' তিনি আরও বলেন, 'স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বই জড়িত। আর তা সহজেই প্রমাণিত হবে। এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে চুরি, ডাকাতিতে তৃণমূলের হাত নেই। পুরো লুটপাটের রাজত্ব চলছে।'
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার এই বিষয়েই সংগ্রাম করে গিয়েছেন। ফলে এখনও তিনি পুলিস প্রশাসনকে এই বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন। এমনকি প্রশাসনও সক্রিয় আছে ও সজাগ আছে। অতি শীঘ্রই তাঁরা ধরা পড়বে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে এইসব মাফিয়াদের বরদাস্ত করা হবে না।'