আমি জানতাম, দিদি বুঝতে পারবে, আমি কোনও অপরাধ করিনি। আমি কোনওভাবে এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নই। সোমবার নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহ ঠাকুরতা। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করার পর বাইরে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অনুব্রত (Anubrata) এখন অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী (Self Confident)। উনি আগে থেকেই জানতেন যে মুখ্যমন্ত্রী (CM) উনাকে সাপোর্ট (Support) করেছেন। উনাকে ভরসা জুগিয়েছেন। বলেছেন যে অত্যন্ত অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, যেটা আমরা আদালতেও বারবার বলেছি। দলনেত্রী সমর্থন করায় উনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুব্রত বলেছেন, আমি জানতাম, দিদি আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন।
অনির্বাণবাবু বলেন, শারীরিকভাবে উনি (অনুব্রত) অত্যন্ত অসুস্থ। এই অবস্থার মধ্যেও উনার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস অবশ্যই এসেছে। আমরা আদালতে বারবার বলেছি, গরু পাচারের সঙ্গে উনার কোনও সম্পর্ক নেই। গরু পাচার যদি হয়ে থাকে, সেটা সীমান্তের সমস্যা। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সম্পর্ক রয়েছে। কাস্টমস এবং বিএসএফ, তারাই সীমান্তের দায়িত্বে থাকে। যদি পাচার হয়ে থাকে, তাহলে ওই বিভাগের অফিসাররা যুক্ত। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও অফিসারকে গ্রেফতার করা হয়নি। এফআইআরে নাম থাকা একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে, তাও ৩২ দিনের মাথায় জামিন পেয়ে গিয়েছেন। অথচ এঁদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই একই অভিযোগ ফুটে উঠেছে উনার দলনেত্রীর কথায়। সেই কারণেই উনি আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন।
অন্যদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে ফের হানা দিতে চলেছে সিবিআই। চলতি সপ্তাহে বোলপুরে যাচ্ছে সিবিআইয়ের বিশাল টিম। অনুব্রতর নামে যে ৪৩ টি সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, তা নিয়ে তল্লাশি চালানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে তদন্ত চলাকালীন উঠে আসা বিভিন্ন তথ্যের উপর ভিত্তি করে বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হতে পারে সিবিআইয়ের তরফে।
সিবিআই সূত্রে খবর, আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। আগামীদিনে ডাকা হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকেও। ইতিমধ্যে সিবিআই-এর হাতে এসেছে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামে থাকা দুটি কোম্পানির তথ্য। গরুপাচারের টাকা কি কোনওভাবে এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে ইনভেস্ট করা হত, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।