এক গৃহবধূকে খুনের (murder) অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় মূহুর্তের মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগণার মক্রমপুর (Makrampur) খিরিশতলা এলাকা।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বছর দেড়েক আগে আরবান লস্করের সঙ্গে বিয়ে (marriage) হয় কাশ্মীরা খাতুনের। আরবান লস্করের বাড়ি মক্রমপুর খিরিশতলা এলাকায়। কাশ্মীরা খাতুনের বাড়ি বারুইপুরের সীতাকুণ্ড এলাকায়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন (Physical and mental abuse) চালাতেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারপরেও অনেক সহ্য করে সংসার করে যাচ্ছিলেন এই যুবতী।
যুবতীর বাবা জানান, তাঁদের মেয়ে কাশ্মীরা অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন তাঁকে বেধড়ক মারধর করতেন তাঁর স্বামী। ফলে গত এক মাস আগে প্রসব যন্ত্রণায় ওই অন্তঃসত্ত্ব যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করলে মৃত সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর থেকে আরও শারীরিক অত্যাচার বেড়ে যায় বলেই অভিযোগ। শনিবার মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে যান তিনি। যেখানে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান তিনি। কিন্তু মেয়ে ভালোভাবে কথা বললেও শ্বশুর বাড়ির লোকজন সেইভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায়নি। বিকেল হতেই বাড়িতে চলে আসেন তিনি। শনিবার রাতে বাবার কাছে খবর আসে তাঁর মেয়ে আর নেই, গলায় দড়ি দিয়েছেন। এরপর সেখানে ছুটে যান মৃত যুবতীর পরিবারের লোকজন।
খবর দেওয়া হয় সোনারপুর থানায়। সোনারপুর থানার পুলিস (police) সেখানে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। রবিবার ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় দেহটি। মৃত যুবতীর বাবা ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়েছে। আর এই খুন করেছেন তাঁর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সোনারপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। অভিযোগ পাওয়ার পর স্বামী আরবান লস্কর, শাশুড়ি তাজমিরা বিবি ও শশুর আকসাদ লস্কর নামে এই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।