ফের বাড়ল এলাকায় বাঘের (tiger) আতঙ্ক উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Islampur) থানার কালানাগিন এলাকায়। ইতিমধ্যেই একের পর এক গরু, ছাগল এবং শুয়োরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে কালানাগিন এলাকা থেকে। তবে সোমবার ফের একটি গরুর মৃতদেহ (dead body) উদ্ধার হয়। ১৭ দিন কেটে গিয়েছে বাঘের আতঙ্কে রাতের পর রাত বনদফতরের কর্মীরা এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছেন। তবে বাঘের আতঙ্ক যেন এবার মানুষকে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এই এলাকার মানুষ রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন। এবার গ্রামবাসীরা সরাসরি জানাচ্ছে প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এলাকা থেকে একের পর এক গরুর মৃতদেহ উদ্ধার হচ্ছে। সবমিলে প্রশাসনকে দায়ী করছেন এই গ্রামবাসীর এলাকার মানুষ।
এদিকে, বাঘে ভয়ে মৃতদেহ শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে যেতেও ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কালনাগিনি গ্রামে এক বৃদ্ধার বয়স্কজনিত কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের লোকেরা যখন শোকে বিহ্বল, সেই সুযোগে এলাকায় একটি বাঘ এসে বাড়ির এক গবাদি পশুকে টেনে নিয়ে নিয়ে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রাম জুড়ে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা মৃতদেহ দাহ করতে সেই বাড়িতে এলেও এই খবর পেয়ে একে একে সকলেই নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। বাঘ তাঁদের বাড়িতেও গবাদি পশু, ছোট ছোট শিশুদের উপর আক্রমন করতে পারে এই আশঙ্কায় প্রতিবেশীরা কেউ রাতে শ্মশানে যেতে রাজি হননি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সকাল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কেউ শ্মশানে যেতে পারবেন না। লোকের অভাবে মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল সোমবার।