জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে একসঙ্গে খুন হল বাবা ও ছেলে। খুনের অভিযোগ উঠেছে পাড়ার এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাস। ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার নতুনচটি এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা যায়, মৃত ব্য়ক্তির নাম মথুরা মোহন দত্ত ও তাঁর ছেলের নাম শ্রীধর দত্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাসের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল মথুরা মোহন দত্তের। অভিযোগ মথুরা মোহন দত্তের জমির উপর বাড়ি নির্মান করে পিন্টু রুইদাস। এরপর নিজের জমি ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয় মথুরা মোহন দত্ত। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট মথুরা মোহন দত্তের জায়গার উপর নির্মাণ করা বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় পিন্টু রুইদাস কে।
বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ পেতেই প্রতিবেশী মথুরা মোহন দত্তের উপর চড়াও হয় পিন্টু রুইদাস ও তাঁর পরিবার। গত ৩ ডিসেম্বর রাতে মথুরা মোহন দত্ত তাঁর স্ত্রী ও ছেলের উপর চড়াও হয় পিন্টু রুইদাস তার দুই ছেলে ও স্ত্রী। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসটা নিয়ে মারধর করা হয় মথুরামোহন দত্ত ও তাঁর ছেলে শ্রীধর দত্ত ও তাঁর স্ত্রীকে।
ঘটনার খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেদিন গভীর রাতেই মৃত্যু হয় মথুরা মোহন দত্ত ও ছেলে শ্রীধর দত্তের। এই ঘটনার পরেই পালিয়ে যায় পিন্টু রুইদাস ও তার পরিবার। ৫ ডিসেম্বর দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার হয় পিন্টু রুইদাস সহ অভিযুক্ত চারজন। ধৃতদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমান করে পুলিস। এদিকে শনিবার সকাল থেকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাসের বাড়ি ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু হয়।