
পারিবারিক বিবাদের জেরে মর্মান্তিক মৃত্যু (death)। ছেলের হাতে খুন (murder) বাবা, মায়ের আশঙ্কাজনক। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির (Hoogly) জিরাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়।
জানা যায়, ওই এলাকায় ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ সাহার বাড়িতেই চলতি মাসের ১ তারিখ ভাড়া আসেন চন্দকান্ত সাহা ও স্ত্রী অঞ্জনা সাহা। বাবার দ্বিতীয়বারের বিবাহিত স্ত্রীকে মা হিসেবে মেনে নিতে পারেননি অভিযুক্ত ছেলে নিলকান্ত সাহা। এরপর মঙ্গলবার রাত ১০ টার সময় অভিযুক্ত ছেলে নিলকান্ত আচমকাই বাড়িতে আসেন, চড়াও হন বাবা ও সৎ মাযের উপর। এরপর হঠাৎই হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে বাবা ও মায়ের শরীরে আঘাত করতে থাকেন। আঘাতের পরিমাণ এতোটাই বেশি হয় যে হাসপাতালে আনার পর বছর ৬৫ এর চন্দ্রকান্ত সাহাকে আহম্মেদপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন।
তবে স্ত্রী অঞ্জনা সাহাকে চিকিৎসকরা কৃত্তিমভাবে নিশ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করে। পরে তাঁকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। বাড়ির মালিক রামকৃষ্ণ সাহা জানান, "আমার মোবাইলের ব্যবসা। রাতে দোকান বন্ধ করে ঘরে যাওয়ার সময় অশান্তি হতে দেখি। তবে এদিন নিমিষের মধ্যেই এই ঘটনা। আমরা বিশ্বাস করতে পারছিনা এমন ঘটনা ঘটতে পারে।"
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ টার পর দুজন আহত ব্যাক্তিকে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হয়। প্রথম ব্যক্তি চন্দ্রকান্ত সহা কিছুক্ষণ বেঁচে থাকলেও পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর স্ত্রী অঞ্জনা সাহার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছুড়ি চালানোর ফলে শ্বাসনালী কেটে গিয়েছে। কৃত্তিম ব্যবস্থা করে রেফার করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা যায়, বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মানতে পারেনি ছেলে। তার ফলেই এই ঘটনা। ধৃত নিলকান্ত সাহাকে বলাগড় স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে বলাগড় থানার পুলিস (police)।