ফের হাতির হানায় মৃত্যু (death)। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মেটেলি ব্লকের লামাপাড়া এলাকার। মৃত ব্যক্তির নাম পান্ডা ওঁরাও(৪৫)। তাঁর বাড়ি ইনডং ফরেস্ট বস্তি এলাকায়। ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্কের (panic) পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জানা যায়, এদিন ওই ব্যক্তি দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে রাস্তায় একটি বুনো হাতি (elephant) তাঁকে ধরে ফেলে। এরপর তাঁকে শুড় দিয়ে তুলে আছার মারে। ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসতেই চিৎকার শুরু করেন তাঁরা। আওয়াজে হাতিটি ওখান থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে এই খবর চাউর হতেই বহু মানুষের ভিড় জমে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মেটেলি থানার পুলিস ও খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা। বনকর্মীরা আসলে এলাকাবাসীরা তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই পাশের পানঝোরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হাতি। একাধিকবার বন দফতরকে বলা সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।
অবশেষে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে সরকারি নিয়মে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভে তুলে নেন তাঁরা। পুলিস দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা যায়। এদিকে, সোমবার রাতেই হাতির হামলায় জখম হলেন আরও এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের ধোবাশোল এলাকা। আহত মানস মাহাতো নামে এক যুবক। তাঁর বাড়ি স্থানীয় মহুলি গ্রামে। মানসবাবু সোমবার বাড়ি ফেরার সময় হাতির সামনে পড়ে গেলে তাঁকে আছাড় মেরে ফেলে দেয় একটি হাতি। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। জখম গুরুতর হওয়ায় ভাঙাগড় হাসপাতাল থেকে মানস মাহাতকে রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে হাতির হামলায় ফসলের ক্ষতি ও এক যুবক জখম হওয়ার ঘটনায় বন দফতরের উপর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা বন দফতরের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'এই এলাকায় হাতির দল থাকা সত্ত্বেও হাতিগুলিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোনও ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বন দফতর। যার কারণেই এই হাতির হামলা।'