শুক্রবার সকালে ইডির ছয় আধিকারিকের একটি দলকে প্রিন্টিং মেশিন নিয়ে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বনগাঁর শিমুলতলায় শংকর আঢ্যের বাড়িতে হানা দিতে দেখা যায়। পাশাপাশি তল্লাশি অভিযান চালানো হয় মন্ডলপাড়া আইসক্রিম কল, শংকর আঢ্যের ম্যানেজার অঞ্জন মালাকারের বাড়ি এবং শ্বশুর বিনয় ঘোষের বাড়িতেও। এমনকি বসাকপাড়ায় শঙ্কর আঢ্যর এক কর্মচারী বাপ্পা ঘোষের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। তবে বিষয়টি নিয়ে শংকর আঢ্যকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, বিচারাধীন বিষয় তাই কিছু বলা যাবে না। তবে তদন্তে সহযোগিতা করা হবে।
প্রসঙ্গত শুক্রবার যে দুই তৃণমূল নেতার বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তাঁরা দু’জনেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর। রাজনীতিতে প্রবেশের পর বালুর হাত ধরেই ফুলে ফেঁপে ওঠেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। ২০০৫ সালে প্রথম বনগাঁ পুরসভার কাউন্সিলর হন। পরে বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান হন। শঙ্কর আঢ্য বনগাঁ পুরসভার পরপর দুবার চেয়ারম্যান ছিলেন। স্ত্রী জোৎস্না আঢ্য একবার চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন বলে সূত্রের খবর।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করছে, রেশন দুর্নীতি মামলায় বালু ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতার যোগ থাকলেও থাকতে পারে। আর তা খতিয়ে দেখতেই শুক্রবার সকাল থেকে সাঁড়াশি তল্লাশি শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এমনটাই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত ইডির তরফে পেশ করা রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত চার্জশিটে এখনও পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে। যার মধ্যে ৩৬ কোটি ঢুকেছে বালুর পকেটেই। এছাড়াও নামে, বেনামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই বিপুল দুর্নীতির পর্দা উন্মোচন করতেই এবার চূড়ান্ত সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আধিকারিকরা।