চলতি মাসের শুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। এই জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতে আবহাওয়া অনেক শুষ্ক রয়েছে এবং তাপমাত্রা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই পরিবেশে তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচতে কী করা উচিত? শুনুন চিকিত্সক কুণাল সরকার কী বলছেন:
বছরে তিনটি মাস আমাদের গরম থাকে এবং এই গরমে আমরা অভ্যস্ত। তবে গরম সহ্য করতে অভ্যস্ত হলেও আমাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হবে। কারণ হঠাত্ করে আমরা এখন প্রায় ঘরের মধ্যে আছি কিংবা কেউ কেউ বাতানুকূল পরিবেশের মধ্যে আছি। তবে আজ থেকে প্রায় ১৫-২০ বছর আগে আমরা এত পরিমাণ বাতানুকূল পরিবেশের মধ্যে ছিলাম না। যেটা এখন খুবই বেড়েছে। তাই এখন আমরা ঘরের ভিতর থেকে যখন বাইরে বেরাচ্ছি তখন একটা সম্পূর্ণ আলাদা তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসছি। আর যখন আমরা এই আলাদা তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসছি তখন আমাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কারণ বাড়িতে আছি ২৩ ডিগ্রিতে কিন্তু যখন বাইরে বেরাচ্ছি তখন তা ৪০ ডিগ্রি হয়ে যাচ্ছে। তখন আমাদের এই তাপামাত্রার তারতম্যের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু অসুবিধা হতে পারে। কারণ আমাদের ব্রেনের বিশেষ কিছু কিছু সেন্টার আছে যেখান থেকে আমাদের এই তাপমাত্রা মানিয়ে নেওয়ার কাজগুলো করে।
তাই তিনি জানিয়েছেন, যখন আমারা ঘর থেকে বাইরে বেরবো তখন যেন সরসরি রোদে না দাঁড়িয়ে, ছায়াতে দাঁড়াই। এখন উত্তপ্ত রোদে অর্থাত্ ৩৮-৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খোলা আকাশের নিচে না দাঁড়ানোই উচিত। এমনকি শুধু ছায়াতে দাঁড়ালেই হবে না সঙ্গে শরীরের ফ্লুয়েডের পরিমাণ বাড়াতে হবে। খেতে হবে অনেক জল। এই কয়েকটি বিষয় খুব ভালো করে মেনে চলতে হবে বাচ্চা-বড় সবাইকেই।