তেল চুরি বন্ধ করতে ই-লকিং সিস্টেম শুরু করেছে রাস্তায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। তারপরও প্রযুক্তিকে হার মানিয়ে অবাধে জ্বালানি তেল কাটিং চলছে দুর্গাপুর কাঁকসার বিলপাড়া বসুধা অঞ্চলে। গোপন ক্যামেরায় ছবি হচ্ছে দেখে চম্পট দেয় অবৈধ কারবারিরা।
প্রথমে বাহারি রঙের ত্রিপল দিয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে চারপাশ। এরপর সেখানে ঢোকানো হচ্ছে জ্বালানি তেল ভর্তি ট্রাক। এরপর গ্যাস কাটার দিয়ে জ্বালানি তেল ভর্তি গাড়ির ওপরের ঢাকনার লোহার রড কেটে চলছে তেল চুরি। প্রযুক্তিকে হার মানিয়ে অবাধে জ্বালানি তেল কাটিং চলছে দুর্গাপুর কাঁকসার বিলপাড়া বসুধা অঞ্চলে। গোপন ক্যামেরায় ছবি হচ্ছে দেখে চম্পট দেয় অবৈধ কারবারিরা।
পেট্রোল পাম্পে ঢোকার আগেই তেল চুরির ঘটনা নতুন নয়। তেল চুরিতে লাগাম লাগাতে ইতিমধ্যেই ই-লকিং সিস্টেম শুরু করেছে রাস্তায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। সেই প্রযুক্তি অনুযায়ী, তেল টার্মিনাল থেকে জ্বালানি তেল ভর্তি ট্রাক বেরোনোর পর সেই গাড়ি নির্দিষ্ট ডিলারের পাম্পে ঢোকা মাত্রই ওটিপি পৌঁছোয় ডিলারের মোবাইল নম্বরে। সেই ওটিপি দেওয়ার পরই খোলে জ্বালানি তেল ভর্তি সেই গাড়ির ই-লকিং সিস্টেম।
কিন্তু এতকিছুর পরও কীভাবে চলছে তেল চুরি? উন্নত প্রযুক্তিকে কীভাবে হার মানাচ্ছে এই তেল ব্যবসায়ীরা? অবৈধ তেল চুরির এই টাকা পৌঁছোচ্ছে কাদের পকেটে? প্রযুক্তি বাড়বে যত, ততই উন্নত হবে চুরির পদ্ধতিও। তবে এই নিয়ে এখনও কেন কড়া নয় প্রশাসন? ভোট রাজনীতির প্যাঁচে সঠিক পদক্ষেপ নিতেও পিছোচ্ছে সরকার?