যত দিন যাচ্ছে ততই ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের (infected) সংখ্যা বাড়ছে বাংলায়। আগে শুধুমাত্র পুরসভা এলাকাগুলিতেই ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি দেখা যেত। তবে এবার পুরসভা এলাকাগুলির পাশাপাশি শহরতলি এলাকা সহ গোটা রাজ্য (State) জুড়েই ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়েছে। ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা স্থিতিশীল হলেও হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি সংক্রমণ। তবে কিছু কিছু জায়গায় এই ডেঙ্গি সচেতনতার জন্য ব্লিংচিং পাউডার ছড়িয়ে, জমা জল ফেলে এবং ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হচ্ছে। ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসন সচেতন হলেও, সচেতনতায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে সরকারি হাসপাতাল গুলির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, হাসপাতালের একাধিক জায়গায় জল জমে রয়েছে যা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এমনকি হাসপাতালগুলিতে যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে নোংরা প্লাস্টিক। যার ভিতরে জল জমে থাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ হাসপাতাল গুলিতেই বেশি দেখা গিয়েছে।
বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া, নদীয়ার হরিণঘাটা, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, মধ্যমগ্রাম, অশোকনগর সহ কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় ডেঙ্গি সংক্রমণের হার বেড়ে চলেছে। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো এক গৃহবধূর। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জেসমিরা বিবি (৩১)। কয়েকদিন আগেই জ্বর হওয়ায় তাঁকে শনিবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর রক্ত পরীক্ষা করার পর ডেঙ্গি ধরা পড়ে। ডেঙ্গি ধরা পড়ার পর থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। কিন্তু তাতেও আর শেষ রক্ষা হয়নি। একই ভাবে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শতাধিক রোগী। সবমিলিয়ে প্রায় ৭০ জনের উপরে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে।
অন্যদিকে, নদীয়ার কল্যাণী মেডিসিন এন্ড জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে শনিবার পর্যন্ত প্রায় ৯৯ জন অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের সবার ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হলে তাদের মধ্যে ৩৭ জনের শরীরে ডেঙ্গি সংক্রমণ পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এই ডেঙ্গি।