মণি ভট্টাচার্য: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) হিংসায় মৃত্যুর সংখ্যা হাফ সেঞ্চুরি পার। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে লাগামহীন সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, যার শিকার হয়েছে শাসক দল থেকে বিরোধী দলগুলি। ফলত রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনী হিংসা (Violence) নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা দাঁড়ালো ৫২ জন। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল,কংগ্রেস, বিজেপি, আইএসএফ সহ সব দলের কর্মীরই। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্যবারের তুলনায় এবারও প্রায় সমান। গোটা রাজ্যের মুশিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা গুলিতে মৃতের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত বেশি। এছাড়া সর্বাধিক মৃত্যুর সংখ্যায় মুর্শিদাবাদকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
মঙ্গলবার রাতে ভাঙড়ে আইএসএফ ও পুলিসের সংঘর্ষে ১ আইএসএসএফ ও এক সাধারণ যুবকের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদিঘি, ও রায়দিঘিতে ২ তৃণমূল কুমির মৃত্যু হয়। ফলে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জন। যদিও এখনও অবধি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার দিন থেকে এই প্রতিবেদন লেখা অবধি মৃত্যুর সংখ্যা ১০ জন। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, নির্বাচন ঘোষণার পর মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু দিয়ে শুরু হয়। এখনও অবধি সেই মৃত্যুর ধারা অব্যাহত।
পাশাপাশি বুধবার বেলা ২ টো অবধি অলিখিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনী হিংসায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৩ জন, মুর্শিদাবাদে ১৩ জন, কোচবিহারে ৬ জন, মালদহে ৪ জন, উত্তর দিনাজপুরে ৪ জন, নদিয়ায় ৩ জন, পুরুলিয়ায়, উত্তর ২৪ পরগনায়, পূর্ব বর্ধমানে ২ জন করে মৃত্যু হয়েছে, এছাড়া বীরভূম, দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে।
পাশাপাশি অলিখিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩ দফার ভোটে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালে ৩ দফার ভোটে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালে ১ দফা নির্বাচনে এখনও অবধি ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।