ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) মোখার (Mocha) আগমনে চিন্তিত রাজ্যবাসী। বাংলায় (Bengal) মোখার প্রভাব কতটা পড়বে তা নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। তবে শুক্রবার বেলা বাড়তেই বেড়েছে রোদের দাপট। আকাশে মেঘ থাকায় গুমোট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার শহরের তাপমাত্রা (Temperature) ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কলকাতায় এবং রাজ্যের অন্যান্য জেলায় কিন্তু আগামী কয়েকদিন শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলায় বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে মৌসম ভবন।
আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। তবে দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। যার ফলে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম পশ্চিম বর্ধমানের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকছি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আজ অর্থাৎ শুক্র ও শনিবার উত্তরবঙ্গের উপরের জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় মোখা আছড়ে পড়তে পারে উপকূল অঞ্চলে। তবে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলে ল্যান্ড ফল হতে পারে মোখার।
আগামী ৬ই মে মধ্য দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ৭ ই মে ওই ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে নিম্নচাপের আকার ধারণ করে ৮ তারিখ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় হবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই মোখার প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও কিছুটা প্রভাব পড়বে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। তাই ৭ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশের সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যাওয়ার নিষেধ করেছে আবহাওয়া দফতর। যারা গভীর সমুদ্রে চলে গিয়েছে তাদেরকে শীঘ্রই ফিরে আসার এলার্ট দেওয়া হয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া সহ বজ্র-বিদ্যুৎতের সম্ভাবনা আন্দামান-নিকোবার আইল্যান্ডে।