মাথা উঁচু করলেই দেখা যায় খোলা আকাশ। ছাদ তো দুরস্থ চারিদিকে দেওয়াল অবধি নেই। সেখানেই চলছে শিশুদের জন্য রান্না। চুলোয় স্বাস্থ্যবিধি। শিকেয় উঠেছে নদিয়া তেহট্টের নাটনা মাঠপাড়া পূর্ব অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের পঠনপাঠনও। শিশুদের হাতে খড়ি এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই। কোনও নির্দিষ্ট ঘর না থাকায় পড়ুয়ারা যেমন আসতে চায় না, অপরদিকে খোলা পরিবেশে পাঠাতে চাই না অভিভাবকরা। এভাবে চলতে থাকলে শিশুদের মধ্যে কিভাবে শিক্ষার আলো পৌঁছবে প্রশ্ন তুলছেন অভিভাবকরা।
গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মধ্যে নেই নিজস্ব কোনও ঘর। এদিকে, গর্ভবতী মায়েদের এবং শিশুদের পুষ্টির জন্য খিচুড়ি ও ডিম দেওয়া হয়। কিন্তু এভাবে খোলা আকাশের নিচে রান্না করা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত হবে ,সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ঘর দেওয়া হয়নি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও সুরাহা মেলেনি।
বস্তুত, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চিত্রটি প্রায় সর্বত্র এক। কেন এখনও বদলাচ্ছে না ছবিটা? হাল ফেরানোর উদ্যোগ কত দিনে কার্যকর হয়, সেদিকে তাকিয়ে অনেক অভিভাবক।