
অর্ধেক নির্বাচন সম্পূর্ণ। আর এই নির্বাচনের মধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে মারধর, ছাপ্পা ভোট, ব্যালট বক্সে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, গুলি, বোমাবাজির মত ঘটনা। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের জেলায়গুলিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিত তৈরি হয়েছিল। তারপরেই মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি, মারধর শুরু হয়েছিল। সব মিলিয়ে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আহত-নিহতও হয়েছেন বহু। ঠিক একইভাবে কোচবিহারের প্রত্যেক বুথেই শুরু হয়েছে অশান্তি। তবে কোচবিহারের দিনাহাটতে এই নির্বাচন নিয়ে একটু বেশিই উত্তাপ তৈরি হয়েছে। দিনহাটার ভিলেজ ওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীরপাট স্কুলে বিজেপি কর্মীকে গুলির অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চিরঞ্জিত কাজী, রাধিকা বর্মন নামের দুই বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে ইতি মধ্যেই চিরঞ্জিত কাজীর মৃত্যু হয়েছে। এখনও অবধি রাজ্যে ভোট ঘোষণা হবার পরে কোচবিহারে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ অর্থাৎ নির্বাচনের দিনে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা ফলিমারি গ্রাম ৪/৩৮ নম্বর বুথ কেন্দ্রে বোমাবাজি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ভোট কেন্দ্রের বাইরে বিজেপির এজেন্ট মাধব বিশ্বাস নামের ওই ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করা হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। দিনহাটা নিউ গীতালদাহ এলাকায় চলল গুলি আহত ৩ জন বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার পরেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ নজরুল শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। ভোট কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন ভোট কর্মীরা৷ কোচবিহারের বেশ কিছু জায়গায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ করা হয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙা ১, ২ এবং ১৯৭ নম্বর বুথে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দী ছেচুড়া ৮/২১৭ বুথে ভোট বয়কট।
এমনকি গোটা কোচবিহার বিহার জুড়ে ব্যালট বক্স চুরি করার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। মূলত ছাপ্পা ভোট দিয়ে শাসক দলকে জয়ী করতেই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে শাসক দল, এমনটাই অভিযোগ। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে বিরোধী দলের কর্মীরা। এত গুলি, বোমাবাজি, মারধরের পরেও বুথের বাইরে দেখা মিলছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীর। সব মিলিয়ে বেশ এখন উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কোচবিহার।