রাজ্যপালের হুঁশিয়ারির পরই রাজভবনে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যা বেলায় হঠাৎ রাজভবনে আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল ও মুখ্যসচিবের মধ্যে কিছুক্ষন বৈঠকও হয়েছে। ওই বৈঠকে রাজ্যে মন্ত্রিসভার রদবদল ও উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গ ছিল বলেই জানা যায়। একদিকে যখন রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত চরমে তখন হঠাৎ মুখ্যসচিবের রাজভবনে আগমন ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ সহ বিভিন্ন বিষয় নয় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছিল। আক্রমন, পাল্টা আক্রমণে শনিবার রাজ্যপাল হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মাঝরাত পর্যন্ত দেখুন কী করি! পালটা শিক্ষামন্ত্রী আবার তাঁর সঙ্গে ‘ভ্যাম্পায়ারে’র তুলনা করলেন! শনিবার এক্স বার্তায় ব্রাত্য লিখেছেন, 'মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় দেখতে থাকুন। সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে। শহরবাসী আপনারা সতর্ক থাকুন। নিজেদেরকে সাবধানে রাখুন। অধীর আগ্রহে ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষা করছি।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত দীর্ঘদিনের। রাজ্যের মনোনীত কাউকে উপাচার্য হিসাবে না নিয়ে নিজের পছন্দমতো অধ্যাপকদের উপাচার্য পদে নিয়োগ শুরু করেছেন রাজ্যপাল। যার প্রতিবাদে রাজ্য সরকার পন্থী শিক্ষাবিদ এবং উপাচার্যরা রাস্তাতেও নেমেছেন। বুধবারই রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে উপাচার্য নিয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে বিঁধেছেন ব্রাত্য। ওই বৈঠক থেকে তিনি বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ‘পুতুলখেলা খেলছেন’। তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনাও করেছিলেন।
যার পালটা হিসাবে শনিবারই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে বলে দিয়েছিলেন, “আমি যা করছি তার জন্য গর্বিত। আমার আচরণে আমি খুশি। মধ্যরাত পর্যন্ত দেখতে থাকুন, আসল পদক্ষেপ কাকে বলে।” রাজ্যপালের এই হুঁশিয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করতে চলেছেন, তা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়ে যায়।