শনিবার সকাল ৭ টা থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী (Vote) প্রক্রিয়া। আর সেই প্রক্রিয়া চলাকালীনই রাজ্যের (State) জেলায় জেলায় চলছে বোমাবাজি মারধর। শুধু মারধরেই আটকে থাকেনি, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের দলকে সম্পূর্ণভাবে জয়ী করতে শুরু হয়ে গিয়েছে ছাপ্পা (Chappa) ভোটও। ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে, ঠিক এমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে। উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ প্রায় সব জায়গাতেই ছাপ্পা ভোট হওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। মূলত উত্তর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ডায়মন্ডহারবার, নদীয়া, ওদিকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আবার মুর্শিদাবাদ, বীরভূমেও দেদার ছাপ্পার অভিযোগ উঠছে।
উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ প্রায় সব জায়গাতেই ছাপ্পা ভোট হওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। মূলত, বীরভূমের ১৭ নম্বর বুথের রুদ্রনগর, কোচবিহারের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক, জলপাইগুড়ির ঝাড় আলতা, কাটোয়া ৭০ নম্বর বুথ, কাটোয়া গোপালপুর, মালদহের গাজলী ১২২ নম্বর বুথ, মুর্শিদাবাদের ডোমকল, উত্তর ২৪ পরগনার ২৩০ নম্বর বুথ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মণ্ড ৫ নম্বর ব্লক, ৪৩ নম্বর ব্লক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার-১ নম্বর ব্লকের নেতড়ার নস্করতলার ১৮৮, ১৮৯ নম্বর বুথ, নদীয়ার ইসলামপুর ৭৮ নম্বর বুথ, ফাঁসিদেওয়ার ফুলবাড়ি ৩০১, ৩০২ নম্বর বুথ থেকে রীতিমতো ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠে আসছে।
ইতিমধ্যেই ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ আসা বুথগুলির মধ্যেই কয়েকটিতে ব্যালট বক্স জ্বালানো শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোট কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স বের করে তা জ্বালিয়ে ফেলছে দুষ্কৃতীরা। কোথাও কোথাও আবার কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে নির্বচনী প্রক্রিয়া।
সবেমাত্র ভোটের ৪ ঘণ্টা অতিক্রম হয়েছে। আর তাতেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বুথে বুথে। কোথাও ছাপ্পা ভোট, কোথাও ব্যালট বক্স জ্বালানো, আবার কোথাও মারধর। এ পরিস্থিতে সাধারণ মানুষযে সন্ত্রাসগ্রস্ত সেটা স্পষ্ট। পাশাপাশি এ অবস্থায় রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট যে একপ্রকার ব্যাহত সেটা বলাইবাহুল্য।