দত্তপুকুর-কাণ্ডে আরও কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। এই ঘটনার পরেই তিনি জানিয়েছেন, দোষীদের কোনও রেয়াত করা হবে না। তাঁর নির্দেশেই ঘটনাস্থলে গিয়েছে সিআইডি। শুরু হয়েছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত।
এদিকে, দত্তপুকুরের এই ঘটনায় পুলিশের দাবি নিহতের তালিকায় রয়েছেন কারখানা মালিকের ছেলে। তাঁর নাম রবিউল আলি। এছাড়াও রয়েছেন মুর্শিদাবাদের দুই বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আসরে নেমেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কেরামত আলিকে আইএসএফের লোক বলেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, দত্তপুকুরে যে এইভাবে বাজি কারখানা চলছে, সেই ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মধ্যমগ্রামের বিধায়ক অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের দাবি, বেশ কয়েক বছর ধরেই পুলিশের চোখের সামনেই এই বাজির ব্যবসা করছিল কেরামত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ জেনেও চুপ ছিল। এই ঘটনার পরেও বস্তার পর বস্তা বাজির মশলা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাড়ির মালিকও। তিনিই কেরামত আলি কীনা, তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।