প্রসূন গুপ্ত: দুর্গাপুজো কালীপুজোর পর এক মস্ত বিরাম। তারপর শীতের শেষে আসে সরস্বতী পুজো। যদিও বলা হয়ে থাকে যে এটা আদতে ছাত্রছাত্রীদের পুজো। কিন্তু বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে পুজো হয়ে থাকে। কারণ সরস্বতী বাগ্দেবী, গান-বাজনার আসরে যাবো আর সরস্বতী বন্দনা থাকবে না, তাই কি হয়? কিন্তু বিভিন্ন ক্লাবেও ঘটা করে সরস্বতী পুজো হয় নিয়মিত। তৃণমূল সরকার হওয়ার পর এই পুজো তো সমস্ত নেতাই নিজ নিজ এলাকায় করে থাকেন। ব্যতিক্রম নয় বিজেপির নেতা, বিধায়ক-সাংসদরাও। যে যেখানে যেভাবে পারেন পুজো করেন।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ২৬ জানুয়ারী হওয়াতে প্রথমে রেড রোডে ছিলেন। কুচকাওয়াজে পরে চলে যান তাঁর কলেজ, যোগমায়া দেবীতে। এখান থেকেই স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের পুজো-খাওয়াদাওয়া ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা খবর নিয়েছেন। মদন মিত্রকে দেখা গিয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজের বাইরে। কলেজের বাইরে পুজো হচ্ছে, কারণ কলেজে পুজো হয় না, ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে এটাই প্রেসিডেন্সির দস্তুর। যদিও তৃণমূল ছাত্ররা চেয়েছিল পুজো কলেজেই হোক কিন্তু দলের সায় ছিল না।
মদন উপস্থিত হওয়াতে ফের নতুন বিতর্ক। কারণ তিনি ওই কলেজের প্রাক্তনীও নয়।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বাড়িতে নিয়মিত বাগ্দেবীর আরাধনা করে থাকেন, তিনি অধ্যাপকও বটে। কিন্তু এবার ধুমধাম করে পুজো করলেন সুকান্ত। তাঁর ছোট মেয়ের হাতেখড়ি হল এদিন। রাজ্যপাল জানতে পেরে সুকান্তর কন্যাকে উপহার পাঠিয়েছিলেন। নেতারা পুজো করলেও 'খবরে' থাকার মতো বিশেষ কিছু নয় ব্যতিক্রম অরূপ বিশ্বাস। প্রতি বছর তাঁর নিজের টালিগঞ্জের অফিসে ধুমধাম করে পুজো করেন এবং নিমন্ত্রিত থাকে বিধাসভার প্রত্যেক মানুষ। দুপুরে কয়েক হাজার মানুষ একসঙ্গে খিচুড়ি, তরকারি, বেগুনি, মিষ্টি পায়েস ইত্যাদি ভোগ খেয়েছেন। উপস্থিত থাকেন টলিউডের শিল্পী-কলাকুশলীরা। ব্যতিক্রম নয় এবারও।
তবে সেরা খবর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের 'হাতেখড়ি'। মুখ্যমন্ত্রী-বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে রাজ্যপাল বাংলা হরফে লিখলেন। আগামী ৫ বছরে বাংলা শিখে বই লেখার ইচ্ছা আছে তাঁর।